কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে খবর, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে এমনই একটি আবাসন। সেখানে ৮০টি ফ্ল্যাট থাকবে। যা তৈরিতে ৯ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করতে চলেছে রাজ্য। ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ‘সকল দেও সিং বস্তি’র চেহারা বদলে তৈরি হচ্ছে ৯০টি ফ্ল্যাট বিশিষ্ট আবাসন। আপাতত খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। আগামী দিনে সেখানে আরও ৪০টি ফ্ল্যাট তৈরির চিন্তাভাবনা রয়েছে পুরসভার। তবে, এর থেকেও বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যানাল সাউথ রোডে। সেখানে ৫ বিঘা জমিতে ২৫৬টি ফ্ল্যাটের আবাসন তৈরির নীল নকশা জমা পড়েছে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আপাতত লকডাউনের জেরে এই আবাসনগুলি তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুরসভাকে। যার অন্যতম কারণ, কর্মীর অভাব। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যেই ১৩১ এবং ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত দু’-তিন মাস কোনও কাজ হয়নি। বর্তমানে কাজ শুরু হলেও কর্মীর অভাবে তা ঢিমেতালে চলছে। কেন্দ্রীয় অংশীদারিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য, ‘মায়ের বাড়ি’ সংলগ্ন বস্তিতে আবাসন নির্মাণের প্রকল্প শুরু হয়েছিল ইউপিএ সরকারের আমলে। তখন ম্যাচিং গ্রান্ট হিসেবে অধিকাংশ খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করত। বর্তমান মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পের নাম বদলে হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। পাশাপাশি রাজ্যের অংশীদারিত্ব অর্ধেকেরও বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, রাজ্য সরকার যেখানে বেশি অর্থ বহন করবে, সেখানে প্রকল্পের কেন্দ্রীয় নামকরণ অর্থহীন। এমনকী, কেন্দ্রের টাকা পেতেও হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হয় রাজ্যকে। তাই কেন্দ্রীয় অনুদানের অপেক্ষায় না থেকে রাজ্যের অর্থে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতোই কাজ শুরু করেছে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন পুর-প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সত্যিকারের মানবদরদী। বস্তিবাসী বা গৃহহীনদের ফ্ল্যাটবাড়ির স্বপ্নপূরণ করতে রাজ্য সরকার স্বেচ্ছায় অর্থ খরচ করছে। এব্যাপারে কেন্দ্রের কোনও সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।