রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এই অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে আনার পথে শনিবার বিকেলে অজয়বাবুর মৃত্যু হয়। মৃতের ভাই সুজয় সোম জানান, সর্দি-কাশির কথা শুনে সব নার্সিংহোমই করোনা রিপোর্ট ছাড়া ভর্তি নেবে না বলে জানিয়ে দেয়। এদিকে করোনা রিপোর্ট আসার আগেই বিনা চিকিৎসায় দাদা মারা গেলেন। সুজয়বাবু আরও জানান, যখন কোনও হাসপাতালই অজয়বাবুকে ভর্তি নেয়নি, তখন হাওড়া জেলা হাসপাতালে যাওয়া হয়। তাঁদের বলা হয়, করোনা রিপোর্ট আসার পর ভর্তি নেওয়া হবে। তাঁর দাবি, হাসপাতাল থেকে আরও বলা হয় যে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে।
এখন সুজয়বাবুদের প্রশ্ন, তাহলে কি করোনা ছাড়া অন্য কোনও কারণে সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুই অবধারিত? এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের এক কর্তা বলেন, কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তারপরও এই ঘটনা কেন ঘটল, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট সবক’টি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অজয়বাবুর মৃত্যু করোনায় কি না, তা রবিবার বিকেল পর্যন্ত না জানা গেলেও, এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এই মৃত্যুর কথা। এখন ওই পরিবারকে কার্যত একঘরে করে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ।