বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিষয়টি অস্বীকার করেননি হরিণঘাটা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান রাজীব দালাল। তিনি বলেন, আবর্জনা ফেলার জায়গা পাচ্ছিন বলেই এখন আপাতত বাড়ি বাড়ি সংগ্রহ বন্ধ রেখেছি। চেষ্টা করছি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা খোঁজার। কিন্তু কোথাও তেমনভাবে পাচ্ছি না। জনবসতি এলাকায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কথা মাথায় রেখেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে হবে। সম্ভাব্য ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে দু’-একটি জায়গা চিহ্নিত করেছি।
২০১৫ সালে হরিণঘাটা পুরসভা তৈরি হয়। এখনও সম্পূর্ণভাবে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডই বর্তমানে তৃণমূলের হাতে রয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে দেখা গেল, এলাকার ভিতর দিয়ে যাওয়া বড় নর্দমার উপরেই বাড়ি থেকে এক বালতি আবর্জনা এনে ফেললেন এক প্রৌঢ়। তিনি বললেন, আবর্জনা যেভাবে ঘরে জমছে, তাতে সেগুলি না ফেলা হলে ঘরে টেকা যাবে না। আমরাই হয়তো বাড়ির বাইরে থাকব, আবর্জনা থাকবে ঘরের ভিতরে। গত কয়েকদিন ধরে পুরসভার তরফে সাফাইকর্মীরা আবর্জনা সংগ্রহ করার কাজ বন্ধ রেখেছে। কেন, কী জন্য কিছুই জানি না। এভাবে পুরসভা চলে নাকি!
৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, দু’টি বাড়ির মাঝখানের গলিতে স্তূপাকারে আবর্জনা পড়ে। আশপাশের বাসিন্দারা জানালেন, এখন তাঁরা বাধ্য হয়ে এভাবেই আবর্জনা এক জায়গায় জমিয়ে রাখছেন। কিছু তো করার নেই। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু বাড়ির ভিতরে নিত্যদিনের আবর্জনা রাখব কীভাবে! কিন্তু জঞ্জাল সাফাইকর্মীরা কী কাজ করছেন? চেয়ারম্যান বলেন, ওই কর্মীদের ড্রেন পরিষ্কার, বাগানের ঘাস কাটার কাজে লাগানো হয়েছে। কারণ আগে জমি খুঁজে বের করি, তারপরই জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ শুরু করব। গয়েশপুরের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু তা এখন সম্ভব নয়। নদীয়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথ বলেন, এটা সত্যিই বড় সমস্যা। আগে হরিণঘাটা পুরসভা লাগোয়া জেলা পরিষদের অফিসের কাছে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। আমি নিষেধ করি। জমির খোঁজ চলছে। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলছি। যদি ফার্মের কাছ থেকে জমি পাওয়া যায়।