কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত২ ব্লকের সমাজসেবী আহাদবক্স সর্দার কয়েক দশক আগে প্রায় চার বিঘা জমি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য দান করেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল এলাকার মানুষ ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই সমস্ত পরিষেবা পাবেন। ফাঁড়ি লাগোয়া এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র আধুনিকভাবে তৈরি করা হয় ২০১৩ সালে। কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন ও ১০টি শয্যার ব্যবস্থা হয়। তাতে পাঁচটি করে শয্যা পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক রাখাও হয়েছিল। কথা ছিল, এখানে প্রসব হবে। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক থাকবে। ঘটা করে তা উদ্বোধন করা হলেও এখন ওই সব বেডে ধুলোর পাহাড় জমেছে। পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী।
এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমানে একজন চিকিৎসক, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী রয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্ডোর পরিষেবা চালানোর জন্য ন্যূনতম তিনজন চিকিৎসক, ছ’জন নার্স, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ও সুইপার প্রয়োজন। কিন্তু ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে কোনও দিন আর ইন্ডোর পরিষেবা চালুই হয়নি। এখন সকাল থেকে আউটডোরে যতক্ষণ রোগী থাকেন, ততক্ষণ ডাক্তার ও কর্মীরা থাকেন। বাকি সময় স্থানীয় মদ্যপ ও গাঁজাখোরদের দখলে চলে যায় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
টাকি রোড লাগোয়া এই বহুমূল্য জমির চারদিকে কোনও পাঁচিল নেই। ফলে সকাল থেকে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠে গোরু ও ছাগল ছেড়ে দিয়ে যান। যে কেউ গেলেই এদিক ওদিকে মদের বোতল ছড়িয়ে থাকার ছবি চোখে পড়বে। গাঁজার কল্কে থেকে নানান নেশার দ্রব্যও চোখ এড়াবে না। স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। পুলিসকেও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বলা হয়েছে। তাতেও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। বারাসত১ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী রায় বলেন, আমি কয়েকদিন আগে এই ব্লকের দায়িত্বে এসেছি। বিষয়টি আমি বিশদে জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।