কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বসিরহাট মহকুমা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর হাঁস, মুরগি ও গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এইসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। প্রত্যেক উপভোক্তাকে ২০টি হাঁস বা মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে এবং স্বসহায়ক দলগুলিকে ৫০টি করে মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে। প্রতিটি হাঁসের বাচ্চার দাম ও তা উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে মোট খরচ পড়বে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ উপভোক্তা পিছু খরচ হবে ১ হাজার ৩০০ টাকা। একইসঙ্গে প্রতিটি হাঁসের বাচ্চার জন্য তিন কেজি করে প্যাকেটজাত খাবার দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মোট ৬০ কেজি খাবারের দাম পড়বে ১ হাজার ৬৬২ টাকা। একইভাবে মুরগি বাচ্চা কেনা ও উপভোক্তা পর্যন্ত তা পৌঁছে দিতে খরচ পড়বে ৫০ টাকা। এক্ষেত্রে স্ব-সহায়ক দলগুলি মোট ২ হাজার ৫০০ টাকার মুরগির বাচ্চা পাবে। প্রতিটি মুরগির বাচ্চার জন্য বরাদ্দ ১ কেজি ২০০ গ্রামের প্যাকেটজাত খাবার। ৫০টির জন্য খরচ হবে ১ হাজার ৫৩০ টাকা। স্বসহায়ক দলগুলির জন্য মোট ৪ হাজার ৩০ টাকা ও উপভোক্তাদের জন্য ১ হাজার ৬১২ টাকার মুরগির বাচ্চা ও খাবার দেওয়া হবে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মোট ৩৬ হাজার ৫৫৪ জন উপভোক্তাকে মুরগির বাচ্চা এবং ১ হাজার ৭০ জনকে হাঁসের বাচ্চা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৫৩টি স্বসহায়ক দলকেও মুরগির বাচ্চা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ৬ কোটি ২৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭৮ টাকা। একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩১৮ টাকা, পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৪৪ টাকা, হাওড়ার জন্য ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫১৪ টাকা, হুগলির জন্য ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪২০ টাকা, নদীয়ার জন্য ৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৪২২ টাকা এবং পূর্ব বর্ধমানের জন্য ২ হাজার ৯৬২ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বরাদ্দের পরিমাণ ১৪ কোটি ১৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৮ টাকা।