গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মূলত প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবেই এই পথে এগচ্ছে পুরসভা। বিভিন্ন ধরনের কর প্রদান বা নানা ধরনের সার্টিফিকেটের জন্য অনেককেই পুরসভায় এসে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হয়। এই অসুবিধা দূর করতেই এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে পরিষেবা দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়েছে, সেইসব ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকবেন আধিকারিকরাই। ফলে একদিকে যেমন ‘অন স্পট’ সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব হবে, তেমনই কর্তাদের হাতের কাছে পেয়ে নাগরিক সমস্যার কথাও জানাতে পারবেন বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই এই ভাবনা ফিরহাদ হাকিমের মাথায় ঘুরছিল। মিউটেশন সহ অন্যান্য কাজে পুরসভায় আসা মানুষজন প্রায়শই সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ আসছিল। আধিকারিকদের একাংশের গড়িমসি এবং ‘ইগো’র জন্য বিল্ডিং-মিউটেশন সংক্রান্ত বেশ কিছু ফাইল পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। যা নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্য প্রশাসক। সম্পত্তি কর মূল্যায়ন নিয়েও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। অনেক জায়গাতেই ঠিকঠাক ‘ভ্যালুয়েশন’ করা হয়নি বলে ফোন আসছে ‘টক টু মেয়র’ কিংবা ‘টক টু কেএমসি’-তে। পাশাপাশি, প্রবীণ নাগরিকরাও সশরীরে এসে কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে সঠিকভাবে কর প্রদান করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা ঠিকমতো রিবেটও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
এক পুরকর্তা জানিয়েছেন, নয়া ব্যবস্থায় অনেক কাজই সহজ হবে। অন্যদিকে, পুর-কোষাগারেও অর্থের জোগান অব্যাহত থাকবে। আগামীদিনে ঘরে বসেই যাতে এই কাজ করা যায়, তারজন্য অ্যাপ তৈরির ভাবনাচিন্তাও রয়েছে পুরসভার।
আগামী ৮ আগস্ট ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই পরিষেবা চালু হবে। তারপর ২২ আগস্ট ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২৯ আগস্ট ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যাম্প হবে। আপাতত ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে বহুতল আবাসনের নীচে কিংবা সামনে ক্যাম্প করা হবে। যাতে চেয়ার টেবিল পেতে বসে কাজ করতে পারেন আধিকারিকরা। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই ধরনের ক্যাম্প করা হবে। তিনি বলেন, কোথাও আমি নিজে যাব, কোথাও পুর-কমিশনার যাবেন, আবার কোথাও বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষকর্তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সময় দেবেন ক্যাম্পগুলিতে। তার আগে পাড়ায় পাড়ায় চলবে মাইকিং।