গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (মধ্য) আমনদীপ সিং বলেন, ধৃতদের নাম সুরজ আলি এবং আরিফ ইকবাল ওরফে ছোটু। আরও এক দুষ্কৃতীকে খুঁজছে পুলিস। একটি আগ্নেয়াস্ত্রও ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের এদিন বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিস হেফাজত হয়েছে। পুলিস প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ওই কলেজছাত্রের দেহে তিনটি গুলি ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। তবে আরও গুলি চলেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তৌফিকের বাবা হায়দার আলি বলেন, ছোটু এবং তার সাঙ্গপাঙ্গ বাড়ির সামনে মদ্যপান করত। গাঁজা খেত। যা নিয়ে আমার ছেলে প্রতিবাদ করে আসছিল। ও থানাতেও অভিযোগ করেছিল। যে কারণে দুষ্কৃতীরা আমার ছেলের প্রাণ নিয়ে নিল। যদিও কমিশনারেটের কর্তাদের কথায়, এই অভিযোগ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃত যুবকের বাড়ির তরফে কেউ লিখিতভাবে করেননি। কেন খুন করা হল, তার কারণ খুঁজতে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তৌফিকের বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানিয়েছে পুলিস।
এদিন ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা পড়শিরাও জানালেন, নিত্যদিন সন্ধ্যা হলেই নেশাখোরদের মুক্তাঞ্চল হয়ে যায় তাঁদের এলাকা। চলে জুয়া খেলা সহ একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রতিবাদ করলেই ভয় দেখানো হয়।
জানা গিয়েছে, তৌফিক ওইদিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বের হন। সেই সময় রাস্তার মাঝখানে বাইকে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ছোটু। রাস্তার মাঝখানে এভাবে আটকে দাঁড়িয়ে থাকার জেরে ওই যুবক যেতে না পেরে অভিযুক্তদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে বচসা চলার পর তৌফিক বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যান। তিনি টিটাগড় স্টেশনে গিয়েছিলেন। পুলিস প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, ছোটু তৌফিককে আগে থেকেই টার্গেট করে নিয়েছিল। ইচ্ছা করেই বাইক রেখে ওই যুবকের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে অভিযুক্তরা। তিনি টিটাগড় স্টেশনে গিয়েছেন, কখন বাড়ি ফিরবেন— এই সবকিছুই ওই দুষ্কৃতীরা নজর রাখছিল। এরপর রাতের দিকে বাড়ি ফিরে আসেন ওই ছাত্র। বাড়ির মধ্যে বাইক রেখে তিনি বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই তারা গুলি করে পালায়।
যুবকের পরিজনরা বললেন, গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে বাইরে এসে তাঁরা দেখেন, তৌফিক মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তৌফিকের কাকা বললেন, আমরা বুঝতে পারিনি, এত বড় কাণ্ড ঘটে যাবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। (ইনসেটে) নিহত যুবক। -নিজস্ব চিত্র