গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাগুইআটি থানার জগৎপুর খালপাড়ে নৃশংস খুনের ঘটনা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এলাকায় প্রতিবাদী হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় রায় ওরফে বুড়োকে গুলি ও বোমা মেরে খুন করা হয়। এই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিস রঞ্জু দে, কালীদাস আধিকারী, প্রবীর সরকার, টুকাই বিশ্বাস, বাপি রহমানকে গ্রেপ্তার করেছিল। খুনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আইএনটিটিইউসি নেতা বাবাই বিশ্বাস ছাড়াও গোপাল বিশ্বাস ওরফে ইঁদুর, মনোরঞ্জন সরকার ও দীপঙ্কর রায় ওরফে গ্যাস বাপিকেও পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের বাড়ি বাগুইআটি, নিউটাউন সহ আশপাশের থানা এলাকায়। ধৃত আট জনের কাস্টোডি ট্রায়াল চললেও মনোরঞ্জন বিশ্বাস হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। সরকারি আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, বাগুইআটির জগৎপুরে প্রতিবাদী যুবক সঞ্জয় রায়ের নৃশংস খুনে মানুষ শিউরে উঠেছিল। এই ঘটনায় ধৃত ৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০বি সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছিল। খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা রঞ্জু, কালীদাস, প্রবীর, টুকাই ও বাপিকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বাবাই সহ বাকি চারজনকে বিচারক সন্দেহপ্রবণ তালিকায় রাখলেও উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে খালাস করেছেন। তবে এই চারজনকে ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জেল থেকে বেরতে হবে।
এই রায়ের বিষয়ে বাবাই বিশ্বাসের বাবা তথা বিধানগর পুরসভার জল বিভাগের মেয়র ইন কাউন্সিল বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র সন্দেহের বসে আমার ছেলেকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল। ওই সময় আমার ছেলে আইএনটিটিইউসি সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সহ সভাপতি ছিল। এখনও দল তাঁকে ওই পদ থেকে বহিষ্কার করেনি। জেল থেকে বেরিয়ে ছেলে কি আগের মতো দলীয় সংগঠন করবেন? বীরেন্দ্রনাথ বললেন, এই বিষয়ে দলের সঙ্গে এখনও কোনও কথা হয়নি।