বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপনকুমার সাহাকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে এডিএইচএস (ইপিআই) তাপসকুমার রায়কে বারাসতের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক করা হয়েছে। তাপসবাবুর জায়গায় তপনবাবুকে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রশাসনের একাংশের ধারণা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ক্রমাগত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায় তপনবাবুকে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে, কদম্বগাছির করোনা হাসপাতালের পর বারাসতে দ্বিতীয় করোনা হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এদিন বারাসতের একটি নার্সিংহোমকে করোনা হাসপাতাল করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা কথাও বলেছেন। দ্রুততার সঙ্গে ওই নার্সিংহোমে করোনা রোগীদের চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। যদিও জনবহুল এলাকায় ওই করোনা হাসপাতাল নিয়ে এলাকাবাসীর পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয়দের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেই করোনা হাসপাতাল চালু করা হবে। অহেতুক আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরের পর থেকে বারাকপুর, বারাসত ও বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন কার্যকর করতে তৎপরতা শুরু করে পুলিস ও প্রশাসন। করোনা আক্রান্তদের বাড়ি থেকে জায়গা অনুযায়ী ৪০ থেকে ৭০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নিয়ে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। ওইসব এলাকায় ঢোকা ও বের হওয়ার সবকটি রাস্তা বাঁশ দিয়ে সিল করে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিস কর্মীদের নিয়ে পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে, যারা কন্টেইনমেন্ট জোনের মধ্যে থাকা মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবা দেবেন। এছাড়া প্রতিটি জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। জরুরি কোনও প্রয়োজনে ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাইরে বের হতে গেলে পুলিসের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার জন্য এলাকায় মাইকিং শুরু করা হয়েছে। বারাকপুর মহকুমার ভাটপাড়া, কামারহাটি, টিটাগড় সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিস নরমেগরমে কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন কার্যকর করতে সচেষ্ট হয়েছে। কোথাও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ধমকের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোন নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। সেকারণে ওই জোনের বাইরের বহু ব্যবসায়ী এদিন আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে দেন। বারাকপুর এবং টিটাগড় পুর এলাকার কন্টেইনমেন্ট জোন এবং বাকি এলাকায় সকাল ১০টার পর কোনও দোকান খোলা রাখা যাবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।