সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: তারকেশ্বরের বালিগোড়ি-২ পঞ্চায়েতে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে সদস্যদের অভিযোগ। সমস্যার কথা জানিয়ে পঞ্চায়েতের ছয় তৃণমূল সদস্য মুখ্যমন্ত্রী সহ দলের বিভিন্ন স্তরে চিঠিও দিয়েছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা পদত্যাগ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, ১০০দিনের কাজ, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল বিলি সহ সরকারি প্রকল্পের কোনও কাজে তাঁদের যুক্ত করা হয় না। পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্যর মধ্যে ছ’জনকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে কাজ করা হচ্ছে। দলীয় ও প্রশাসনিক স্তরে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। গত পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রধান তথা বর্তমান সদস্য সঞ্জয় বেলেল বলেন, পঞ্চায়েতের রেজ্যুলিউশন খাতায় সদস্যদের সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারপর ইচ্ছেমতো বিষয়বস্তু লিখে দেওয়া হচ্ছে। উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা সামান্য ত্রিপলটাও দিতে পারছি না। যার ফলে এলাকার লোকজন আমাদের দোষারোপ করছেন। আমরা তারকেশ্বর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম কুণ্ডুর অনুগামী। যে কারণে তারকেশ্বর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান স্বপন সামন্তের নির্দেশে আমাদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছি। তা না হলে কয়েকদিনের মধ্যেই ইস্তফা দেব। যদিও স্বপনবাবু বলেন, এখানে অনুগামীর কোনও ব্যাপার নেই। দল একটাই। বিষয়টি জেলা নেতৃত্ব দেখছে।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবীপ্রসাদ রক্ষিত বলেন, বোর্ড গঠনের পর থেকেই ওই সদস্যরা পঞ্চায়েতের কাজে অসহযোগিতা করছেন। দুই সদস্য ছাড়া বাকি কোনও সদস্য ত্রাণ বিলির আবেদন করেননি। এলাকার মানুষের স্বার্থে সরকারি নিয়ম মেনে সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।