বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগে কাজ করেন তিনি। সুরক্ষা কবচ থাকলেও ফাঁক গলে করোনা বাসা বেঁধেছিল তাঁর শরীরে। গত ২৯ এপ্রিল রিপোর্ট আসে, পজিটিভ। পরের দিন ভর্তি হন হাসপাতালে। টানা ১৪ দিন সেখানে থাকার পর করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফেরেন তন্ময়। বাড়িতে ফিরেও দু’সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টাইন। সেই পর্ব শেষ করে তিনি ফিরে এসেছেন তাঁর স্বাভাবিক কর্মজীবনে। তন্ময়ের কথায়, হাসপাতালের ডাক্তাররাই প্রথম বলেন প্লাজমা দান করতে। সেই মতো গত সোমবার কলকাতার মেডিক্যাল কলেজের প্লাজমা ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্তরস দিয়ে এসেছি। এই চিকিৎসায় প্লাজমার একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আমার প্লাজমায় যদি কয়েকজন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন, এর চেয়ে আনন্দের আর কী থাকতে পারে। করোনা জয়ী সকলের উচিত আক্রান্তদের স্বার্থে প্লাজমা দান করা। সারা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যেও করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে। স্বভাবতই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের কপালে। বিশেষ করে এখনও এই চিকিৎসায় সেভাবে কোনও ওষুধ বের না হওয়ায় চিন্তা আরও বেড়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসায় এবার প্লাজমা থেরাপির উপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সেকারণেই করোনা জয়ীদের থেকে প্লাজমা সংগ্রহের কাজ চলছে। এর জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে একটি প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। রক্তরসে থাকা সেই উপাদানই ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই ওই প্লাজমা ব্যাঙ্কে একাধিক করোনা জয়ী প্লাজমা দান করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন হারোপের তন্ময় মণ্ডল।