গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বারুইপুর ও তার আশপাশের এলাকাবাসীর কাছে কাছারি বাজার অন্যতম কেনাকাটার জায়গা। পোশাক, জুতো, বিভিন্ন পণ্যের শোরুম সহ নানা জিনিসের দোকান আছে এখানে। কিন্তু এই বাজারের রাস্তা জুড়ে বেনিয়মই যেন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারের সামনের রাস্তার নাম কুলপি রোড। সেটি ধরে রেলগেটের দিকে এগতেই দেখা গেল ফুটপাত বলতে সেরকম কিছু নেই। সবটাই দোকানদারদের দখলে চলে গিয়েছে। যেটুকু অবশিষ্ট আছে, তাতে হাঁটাচলা করা খুবই কঠিন।
অফিস টাইমে, অর্থাৎ সকাল ৮-৯টা থেকে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই দায়। অটো, রিকশ এবং টোটোর ভিড়ে প্রবল যানজট হয়। অটো বা রিকশ করে এই এক কিলোমিটার রাস্তা পেরোতেই আধঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। ট্রাফিক পুলিসের দেখা না-মেলায় সমস্যা আরও বড় আকার নেয়। সাইকেল, বাইক এবং অটোর লাগামহীন ভিড়ে রাস্তা পারাপার করা যেন একটা কসরতের কাজ।
বারুইপুর স্টেশনের রেল গেটের কাছে বিভিন্ন রুটের অটো স্ট্যান্ড। একটি যাচ্ছে গড়িয়া, একটি জুলপিয়া, আরেকটি চরণ। তবে ক্যানিং রুটের কিছু অটোচালক বেআইনি স্ট্যান্ড করে নিয়েছেন বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। বারবার বলার পরও নাকি সেই স্ট্যান্ড ওঠেনি। এ নিয়ে বহু আন্দোলন হয়েছে, তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কারণ এর পিছনে শাসকদলের প্রভাবশালীরা রয়েছেন।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিভিক পুলিস থেকেও যেন নেই। যানজটের জন্য অটো এবং রিকশ চালকদের মধ্যে ঝগড়া লেগে গেলে তখনই হাজির হতে দেখা যায় পুলিসকে। তাই মাঝে মধ্যে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীর সঙ্গে ঝামেলাও লেগে যায় স্থানীয়দের।
বেলা বাড়তেই বারুইপুর থানার ঢোকার মুখের রাস্তার ধারে পসরা সাজিয়ে বসে পড়েন হকাররা। কেউ জুতো তো কেউ মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ডালা সাজিয়ে নিয়েছেন। এতে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে যায়। তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেওয়ার কোনও চেষ্টা করা হয় না বলেই এলাবাসীদের থেকে জানা গেল। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বক্তব্য, যানজটের সমস্যা নিয়ে জেরবার সবাই। পুরসভার পক্ষে পদক্ষেপ করা হলেও, সমাধান হয়নি। পুরসভার বক্তব্য, অনেকভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা বেশি চওড়া না-হওয়ার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র