কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মথুরাপুর ১ নং ব্লকে মথুরাপুর পূর্ব পঞ্চায়েত এলাকায় এই থানার অবস্থান। ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে আটটিই পড়ে এই থানার মধ্যে। বাকি দুটি পঞ্চায়েত ঢোলাহাট থানার অন্তর্গত। দেখা গেল, ইটের নির্মাণ হলেও মাথায় টিনের চাল। দুটি ঘর। একটিতে বসেন ওসি। অন্য ঘরটি তুলনায় একটু বড়, সেখানেই হয় প্রশাসনিক কাজকর্ম, বসেন সাব-ইন্সপেক্টর সহ অন্য পুলিস কর্মীরাও। সব মিলিয়ে ২২ জনের সংসার। এটাই মথুরাপুর থানা। দুটি ঘরের দেওয়ালেই নোনার দাগ স্পষ্ট। কোনওকালে রং করা হয়েছিল বটে, তবে তা এখন ফিকে। কোনও কোনও জায়গায় খসে পড়েছে পলেস্তারা। টিনের চালে অসংখ্য ছিদ্র। বৃষ্টি হলে আর রক্ষা নেই। টিন চুঁইয়ে জল পড়ে ঘরের মেঝেতে। একই অবস্থা শৌচাগারের। এর মধ্যেই একপাশে চলছে অভিযোগ গ্রহণের কাজ। যাঁরা থানায় আসেন বিভিন্ন কাজে, তাঁদের বসার জায়গা নেই। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে জানালা দিয়েই জমা করতে হয় অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সব মিলিয়ে ভোগান্তি পুলিসকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সকলেরই। এক পুলিস কর্মী বলেন, প্রতিদিন থানায় জেনারেল ডায়েরি হয় কম করে ২০০টি। ফলে জানালার বাইরে ভিড় হয় অত্যধিক। একে করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা, তার উপর গাদাগাদি করে একটা ঘরে বসেই কাজকর্ম করতে হচ্ছে আমাদের। জল পড়ে দরকারি কাগজপত্রও নষ্ট হচ্ছে। পরে তা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়।
এই সমস্যা মেটাতে ২০১৯ সালের গোড়ায় থানার দক্ষিণ দিকে শুরু হয়েছিল নতুন তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ। কিন্তু লকডাউনের জেরে তা বন্ধ হয়ে যায়। থানা সূত্রে খবর, দু’বছর আগেই নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। প্রায় আট কাঠা জমিতে এই কাজ হচ্ছে। পুলিস কর্মীরা বলেন, শুধু থানা নয়, কোয়ার্টারগুলির অবস্থাও ভালো নয়। সিলিং ও দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যেমন কাজ করতে হচ্ছে, তেমন থাকতেও হচ্ছে। এখন দ্রুত কাজ শুরু হোক, এটাই চাই।