বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার পুর প্রশাসক কাজল সিন্হা বলেন, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গিয়েছে, তাঁরা আসা-যাওয়া নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। তাঁদের মনে হচ্ছে, কাজে এলেই আক্রান্ত হয়ে যাব, আর আক্রান্ত হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। এই ভাবনা থেকেই তাঁরা অবসাদে ভুগছেন। কিন্তু মন থেকে এই ভয় দূর করা প্রয়োজন। সে কারণে মনোবিদদের মুখোমুখি বসানো হবে কর্মীদের। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানসিক অবসাদ কাটতে পারে বলেই তাঁর দাবি।
বর্তমানে পুরসভার অন্তর্গত এলাকায় ১ লক্ষ ১০ হাজার বাসিন্দার বসবাস। তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য জঞ্জাল সাফাই কর্মী বাদে মোট পুরকর্মী রয়েছেন ৪০০ জনের কাছাকাছি। প্রশাসকের কথায়, বিধিনিষেধ মেনেই ওই অনুষ্ঠানটি করা হবে। তাই প্রত্যেককে উপস্থিত রাখা যাবে না। তবে গোটা অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার হবে।
এমনকী, অনুষ্ঠানের যে লিঙ্ক, তা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যাতে সাধারণ মানুষও মনোবিদদের কথা শুনতে পারেন। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বক্তব্য, আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে যে, মানুষ অবসাদে ভুল পদক্ষেপ করে ফেলছেন। প্রত্যেকের পক্ষে সম্ভব নয় মনোবিদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলা। সেক্ষেত্রে এভাবেই যদি সংযোগ ঘটে, তাহলে অসুবিধা কোথায়!
শুধু এই সিদ্ধান্তই নয়, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এদিন বৈঠকে স্থির হয়েছে। ১০টি জায়গায় পুরসভার তরফে কিয়স্ক বসানো হবে। সেখান থেকে পথচলতি মানুষের কাছে প্রচার করা হবে মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজার বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলুন। একইসঙ্গে কিয়স্কে যে পুরকর্মীরা থাকবেন, তাঁরা প্রতিটি মানুষের উপরে নজর রাখবেন। কারও সর্দি-কাশি হচ্ছে কি না, কেউ রাস্তায় শরীর খারাপ নিয়ে বসে পড়ছেন কি না ইত্যাদি। প্রয়োজন মনে করলে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে এবং মেশিন দিয়ে দেখা হবে, ওই ব্যক্তি বা মহিলা শ্বাস নিতে ঠিকমতো পারছেন কি না। যদি কারও মধ্যে কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু দেখা যায়, তাহলে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই নাগরিকের নাম এবং ফোন নম্বর তালিকাভুক্ত করে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর ফোনে ওই নাগরিকের খোঁজখবর নেবেন। যদি তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে স্বাস্থ্যদপ্তর এবং পুলিসের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করা হবে।