পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মৃত যুবকের একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিস। নোটটি শুরু হয়েছে গীতার বাণী দিয়ে। মা শাশ্বতী চট্টোপাধ্যায়(৬৫) যে তাঁর কাছে কী ছিলেন, সেই ইঙ্গিত সেখানে দিয়ে যুবক লিখেছেন, ‘আপনারা চাইলে একে আত্মহত্যা বলতে পারেন। কিন্তু, মায়ের সঙ্গে স্বর্গসুখের খোঁজে যেতেই দেহত্যাগ করছি। কারণ, ইহজগতের যন্ত্রণা আর নেওয়ার সাধ্য নেই আমার।’ বলাগড় থানার পুলিস জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হিসেবে ওই মৃত্যুকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য অরুণ মজুমদার বলেন, শাশ্বতীদেবী অসুস্থ ছিলেন। তাঁরা কোনও একটি আশ্রমে যেতে চেয়েছিলেন। তা নিয়ে কোনও জটিলতা হওয়ার পরে তাঁরা মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন। মা-ছেলে সারাদিন কৃষ্ণনাম করতেন। কারও সঙ্গে তেমন না মিশলেও মিষ্টি ব্যবহারের জন্য তাঁরা সকলের পছন্দের ছিলেন। এভাবে সমস্ত ঋণ চুকিয়ে যাওয়ার মধ্যেও রয়েছে মহানুভবতা।
সাড়ে চার বছর আগে বলাগড় স্টেশনের কাছে একটি বাড়ি কিনে শাশ্বতীদেবী ও তাঁর ছেলে থাকতে শুরু করেছিলেন। তাঁরা কোনও একটি আশ্রমে যাবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। তার জন্য সেখানে বেশ কয়েক লক্ষ টাকাও দেন। কিন্তু, সেই আশ্রম কর্তৃপক্ষ নাকি পরে তাঁদের দায় নিতে অস্বীকার করে। তাতে মা-ছেলে কিছুটা মানসিক আঘাত পান। ওই ঘটনার পর শাশ্বতীদেবীর শরীর স্বাস্থ্য আরও ভেঙে যায়। সম্প্রতি তাঁরা বলাগড়ের বাড়ি বিক্রি করে দিলেও সেই বাড়িতেই ভাড়ায় থাকতেন।
এদিন সকালে প্রতিবেশীরা প্রথমে শাশ্বতবাবুকে বাড়ির চাতালে শুয়ে থাকতে দেখেন। তারপরেই পুলিস ও স্থানীয় পঞ্চায়েতকে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এলে দেখা যায়, ওই যুবক বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘরে তাঁর মা-কে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া হয়। উদ্ধার হয় শাশ্বতর একটি সুইসাইড নোট ও তিনটি নাম লেখা চেক। প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক। তা দিয়েই শোধ করে দিয়ে গিয়েছেন যাবতীয় পার্থিব ঋণ।