বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরেই এই শহরতলির বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতামুখী বাসের সংখ্যা রীতিমতো কমে গিয়েছে। সকালে বা বিকেলের দিকে রাস্তায় বাসের দেখা মিললেও, সন্ধ্যার পর থেকে ধীরে ধীরে কমছে। যাত্রীদের অভিযোগ, চিড়িয়ামোড় বা লালকুঠি মোড়ে এসে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু কন্ডাক্টররা মুখের উপরে সোজাসাপ্টা বলে দেন, আর যাবে না। কারণ তেলের দাম উঠছে না।
অভিজিৎ রায় নামে এক যাত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিড়িয়ামোড়ে দাঁড়িয়ে বললেন, তিনি ইছাপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। প্রতিদিন বারাকপুর পর্যন্ত টোটোতে এসে বিধাননগরে যাওয়ার জন্য বাস ধরেন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও বাস পাননি। অবশেষে একটি ডানলপগামী বাস এলে তাতে উঠে পড়েন। কন্ডাক্টর জানিয়ে দেন, ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। একটা স্টপেজই হোক বা ডানলপ—উঠলেই ৩০। বাড়ি ফেরার তাড়ায় কেউ আর ঝুঁকি নেননি। বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা অমিতা চক্রবর্তী বললেন, তিনি পলতা এসেছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ডে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারেননি। ওই বাদুড়ঝোলা বাসে ওঠা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। শেষ অবধি ৫০০ টাকা খরচ করে ট্যাক্সি করে ফিরেছেন।
শুধু এই দু’জন নয়, গত দু’-তিনদিনে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বহু মানুষের। সন্ধ্যা হতে না হতেই উত্তর শহরতলির এই প্রান্তে আসা মানুষজন ছুটতে থাকেন বাড়ি ফেরার টানে। তাঁদের দাবি, ৬টা বাজলেই বি টি রোডে বাস উধাও। প্রতিদিন ৩০-৪০ টাকা খরচ করে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রশাসনকে কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। নাহলে এই দুর্ভোগ থেকে নিস্তার নেই।