পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চুঁচুড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, পুরসভায় গত ২০ দিনে নানা সমস্যার কারণে মশা প্রতিরোধের কাজ হয়নি। পুরকর্মীদের সমস্যা মিটে যাওয়ায় পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে আশা করছি। তাছাড়া সোমবার থেকে ডেঙ্গু ও পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে অভিযান শুরু হয়েছে। তাতে সমস্যা মিটে যাবে।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, শহর সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকায় মশা প্রতিরোধের জন্য পঞ্চায়েতগুলি ব্যবস্থা নেয়। কোথাও ত্রুটি বা সমস্যা আছে কি না, দেখছি।
পুরসভার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুরসভার সব ওয়ার্ডেই কিছুদিন ধরে মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘড়িমোড় থেকে শহর ও পঞ্চায়েতের সংযোগস্থল খাদিনামোড়, ব্যান্ডেল থেকে ইমামাবাড়া চত্বর, বাসস্ট্যান্ড সব জায়গায়তেই প্রচণ্ড মশার দাপট। তাই বাধ্য হয়ে দিনরাত মশা মারার তেল থেকে কয়েল ব্যবহার করতে হচ্ছে। দিনের বেলাতেও বহু জায়গায় মশারি টাঙিয়ে রাখতে হচ্ছে। অভিযোগ, অনেক সময় নিকাশি নালাগুলিতে লার্ভানাশক তেল ছড়ানো হলেও ঠিকঠাক নজরদারি চালানো হয় না। তাছাড়া শহরে নিকাশি ব্যবস্থা, সাফাই কোনওটাই ভালো নয়। পুরসভায় নালা দিয়ে জল গড়ায় না। এই উদাসীনতার কারণেই গোটা শহর মশার প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
তবে শুধু পুরসভাই নয়, পুরসভার গা ঘেঁষে থাকা দু’টি পঞ্চায়েত কোদালিয়া-১ ও ২ এর বিস্তীর্ণ এলাকাতেও মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। স্টেশন রোড, রবীন্দ্রনগর, ধান্য গবেষণাগার সংলগ্ন এলাকা, ময়নাডাঙার বাসিন্দারা মশার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। অভিযোগ, এইসব এলাকাতেও নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। ধোঁয়া দেওয়া বা লার্ভানাশক ছড়ানো হয় না। ফলে মশার সমস্যা প্রবল হয়ে উঠেছে।