রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দিনে দিনে সাঁতরাগাছি স্টেশনের গুরুত্ব বাড়ছে। প্রত্যেকদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন এই পথ দিয়ে। তবে এখন লকডাউনের জন্য এই পথ দিয়ে মানুষের যাওয়া-আসা অনেকটাই কম। সব স্বাভাবিক হলে ফের ভোগান্তি শুরু হবে। স্থানীয় একটি বাইক সারাইয়ের দোকানের এক কর্মচারী বলেন, এখানে আন্ডারপাসে জল জমে থাকে বছরভর। সেই জন্য ওই অংশে বড় বড় গর্তও হয়ে যায়। ফলে মাঝেমাঝেই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে এখানে। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, এই রাস্তার আশপাশের নিকাশি নালাগুলির জল যেখানে গিয়ে পড়ত, সেখানে এখন রেলের তরফে বড় নির্মাণকাজ হচ্ছে। জল গিয়ে পড়ার জায়গা না-থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে নিকাশি উপচে এখানে জল জমে যায়। বৃষ্টি না-হলেও সেই জল জমে থাকে। জল পড়ার জায়গা এভাবে বন্ধ না হলে এতটা খারাপ অবস্থা হত না বলে দাবি ওই বাসিন্দার। খুব বেশি জল জমে গেলে কখনও কখনও পাম্প বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও জানান তিনি। তবে তা খুব সাময়িক সমাধান।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল বোর্ড থাকাকালীন। তৎকালীন মেয়র জানিয়েছিলেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজার জন্য ১৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেই কাজ হলে সাঁতরাগাছির এই সমস্যা কেটে যাবে। তারপর ২০১৮ সালে পুরবোর্ড বিদায় নেওয়ার পর সেভাবে কোথাও কাজকর্ম হয়নি। ফের পুরভোট পিছিয়ে গিয়েছে লকডাউনের জন্য। ফলে এই আন্ডারপাসের ভোগান্তি যে এখনই মেটার নয়, তা একপ্রকার স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। পুরসভার এক কর্তা বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হলে পাম্প বসিয়ে জল সরানো ছাড়া কিছুই আপাতত করার নেই।