বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভার আলোক বিভাগ সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় শহরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি বাতিস্তম্ভ নষ্ট হয়েছে। যার মধ্যে ত্রিফলা রয়েছে প্রায় দেড় হাজারেরও উপর। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নতুন খুঁটি বসানো হবে। পাশাপাশি আংশিক ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভগুলি মেরামত করা হবে। তবে, আর্থিক সমস্যার কারণে এই কাজে গতি আসছে না বলেই পুর কর্তৃপক্ষের একাংশ দাবি করেছে। এক আধিকারিকের বক্তব্য, সব রাস্তায় একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। এই টাকা একলপ্তে বরাদ্দ করা হবে না। ধাপে ধাপে টেন্ডার ডেকে কাজ চলবে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুদান মিলতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, পঞ্চসায়র, পাটুলি, খান্না, মানিকতলা, হাতিবাগান, চারু মার্কেট থেকে নিউ আলিপুর যাওয়ার রাস্তায় আলোকস্তম্ভগুলির সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি, রাসবিহারী মোড় থেকে কেওড়াতলা হয়ে চেতলা, প্রতাপাদিত্য রোডের কিছু অংশ, পূর্ব ও মধ্য কলকাতার বেঙ্গল কেমিক্যাল, বেলেঘাটা, সুকান্তনগর, কসবা, রাজাবাজার, এপিসি রোড, যাদবপুর, নেতাজিনগর, গলফ গ্রিনের কিছু এলাকা, এজেসি বোস রোডের একাংশ, আর জি করের পাশে খালপাড় এলাকায় বাতিস্তম্ভের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই এই সব এলাকার অলগলি অন্ধকারে ডুব দেয়। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন নাগরিকরা। ইতিমধ্যেই কালীঘাট, ভবানীপুর, বেলভেডিয়ার রোড, আলিপুর, গড়িয়াহাট রোড, বালিগঞ্জ, লেক গার্ডেন্স, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, চিড়িয়াখানা সংলগ্ন অঞ্চল, বর্ধমান রোডে আলো ফেরানোর কাজ অনেকটাই হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুরসভা।
এই প্রসঙ্গে পুরসভার আলোক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য মনজর ইকবাল জানিয়েছেন, যে সব জায়গায় আলো কেটে গিয়েছিল, সেগুলি বদল করা হয়েছে। যেখানে ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে গিয়েছে, সেখানে অস্থায়ীভাবে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন এইসব জায়গায় ধাপে ধাপে স্থায়ী লাইটপোস্ট লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।
শুধুমাত্র ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভ নতুন করে লাগানোই নয়, একইসঙ্গে পুরনো বাতিস্তম্ভের সংস্কার, বিশেষ করে গোড়া শক্তপোক্ত করতে ঢালাইয়ের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই কাজও এই টাকায় সেরে ফেলা হবে। যাতে আগামীদিনে সমস্যা না হয়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শহরকে ফের আলোকোজ্জ্বল করে তুলতে তৎপর পুর কর্তৃপক্ষ।