পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহাদেববাবু শখ করে একদিন এই রাস্তায় এলেও বহু মানুষ পথ-সংক্ষেপ করতে এভাবেই লাইন টপকে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এখানে গোটা আটেক রেল লাইন রয়েছে। ওই লাইনে এখন মাঝেমধ্যেই মালগাড়ি চলে। মাঝে মাঝে কর্মীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ সার্কুলার রেলও চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আবার দূরপাল্লার ট্রেনগুলি এখন বন্ধ থাকায়, সেই রেকগুলিকেও এনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে এখানে। ফলে লাইন পারাপার করতে গেলে হয় রেকের শেষপ্রান্ত ঘুরে আসতে হবে, নাহলে কামরার নীচে দিয়ে গলে যেতে হবে ওপারে। সেই সময় যদি কোনও কারণে আগুপিছু করা হয়, তাহলেই বিপদ। যদিও তেমন ঘটনা এযাবৎকালের মধ্যে ঘটেনি, বলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা গোকুল মণ্ডল। তাঁর কথায়, আগে লাইন পেরতে গেলে আরপিএফ কখনও সখনও জরিমানা করত। এখন সে সবের বালাই নেই। শ্যামবাজার প্রান্তে যাওয়ার রাস্তা আগে আটকানো ছিল, সেখানে এখন ফাঁক রেখে দেওয়া হয়েছে। যাতে যাতায়াত করতে সুবিধা হয়।
স্থানীয় মানুষ চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করে চালু হোক নতুন ব্রিজ। তাহলে রোজ লাইন পারাপারের ঝক্কি আর পোহাতে হয় না। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে অবশ্য ভাঙাগড়ার কাজ চলছে। লকডাউনের প্রথম দিকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শেষ হয়েছে। এখন ভগ্নাবশেষ সরানোর পালা। পাশাপাশি নির্মাণকাজ শুরুরও প্রস্তুতি চলছে। শ্যামবাজারের প্রান্তে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে বেশ কিছু মেশিন। চলছে বিদ্যুতের কেবল বসানোর কাজ। জুলাইয়ের শেষের দিকে নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে বলে খবর। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। পুরনো টালা ব্রিজের মতো দেখতে না হলেও এটির দৈর্ঘ্য হবে ৬১০ মিটার।
পার্ক সার্কাসে রেল লাইনের উপর যে ‘বো স্টিং’ আদলে ব্রিজ তৈরি হয়েছে, তার মতোই হবে নতুন টালা ব্রিজ।