গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের বাড়ির লোকজনের বসার জায়গা হোক বা রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ডাক্তারবাবুদের দেখা করার জায়গা— কোথাও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার বালাই নেই। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল এমনই চিত্র। ফলে একাধিক বিভাগের বহু চিকিৎসক-কর্মী এখানে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। এই রোগ ফের ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে। পিজি হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, রিউম্যাটোলজি, মেডিসিন সহ বেশ কয়েকটি আউটডোরের লাইনে তুমুল ভিড়ে গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কার্ডিওলজি’র সামনেও একই অবস্থা। সামাজিক দূরত্ববিধি মানার বালাই নেই। পুলিস বা হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরাও ন্যূনতম এক মিটার দূরে রোগীদের দাঁড় করাতে কোনও চেষ্টা করছেন না। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের সামনে থেকে এমআরআই, ডিজিটাল এক্স-রে পর্যন্ত অংশে যেখানে-সেখানে জটলা করে রোগীদের বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। আর জি কর-এর ইমার্জেন্সি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে রয়েছে ‘পার্টি মিট’ করার জায়গা। দেখা গেল, সেখানে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন রোগীর বাড়ির লোকজন। ভিড় সামলাতে কাউকেই দেখা যায়নি। কমবেশি সব মেডিক্যালের আউটডোরের গেটে থার্মাল স্ক্যানিং-এর কড়াকড়ি থাকলেও, ভিতরে ঢুকলে যে কে সেই পরিস্থিতি! লাইনে দূরত্ববিধি দূর অস্ত, বহু আউটডোরের ভিতরে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে অপেক্ষমান বাড়ির লোকজনকে। তবে তাঁদের নিয়ম মানানোর প্রশংসনীয় চেষ্টাও দেখা গিয়েছে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, এন আর এস এবং মেডিক্যাল কলেজে। মেডিক্যালের আউটডোরের রোগীদের সাফ জানানো হচ্ছে, মাস্ক পরলে ঢুকতে পারবেন, নয়ত নয়। ট্রপিক্যালের ত্বকের আউটডোরে শুধু তাপমাত্রা পরীক্ষাই নয়, লাইনে দাঁড়ানো রোগী ও বাড়ির লোকজনকে বারবার ন্যূনতম এক মিটারের দূরত্ব মানতে বলা হচ্ছে। এন আর এস-এর আউটডোর বাড়ির একতলায় একজন করে ঢোকাতে এবং ভিতরেও ভিড় সামলাতে দেখা গিয়েছে পুলিসকে।