পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ব্যাঙ্কশাল, শিয়ালদহ, আলিপুর আদালত চত্বরে এই টাইপিষ্টরা কাজ করেন বছরের পর বছর ধরে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা উপেক্ষা করে ত্রিপল, পলিথিন টাঙিয়ে এরা নিত্যদিন টাইপ করে দেন গুরুত্বপূর্ণ নথি। কোনও দিন ১০০, ২০০ টাকা, আবার কোনও কোনও দিন ২৫০ টাকারও কাজ হয়ে থাকে। তবে গত কয়েক বছরে এমনিতেই তাঁদের ব্যবসায় অনেকটাই ভাটা পড়েছে। কারণ প্রযুক্তি। কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স টাইপরাইটারের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না তাঁদের পুরনো আমলের টাইপরাইটার। তারপরে দিনকে দিন টাইপিস্টের সংখ্যাও বাড়ছে। এইসবের উপর লকডাউন তাঁদের একদম দফারফা করে দিয়েছে। এখন আগের অবস্থা যদি ফিরে না আসে, তাহলে তাঁদের পথে বসা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় থাকবে না। কয়েকজন টাইপরাইটার বলেন, অধিকাংশ টাইপিস্টরাই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় আসেন। তাই রেল পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে দূরদূরান্ত থেকে কলকাতায় আসতে পারছেন না তাঁরা। আর সে কারণেই এখন প্রতিদিন তাঁদের বাড়িতে হাঁড়ি চড়াই মুশকিল হয়ে উঠেছে। গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালুর সঙ্গে সঙ্গেই যদি রেল পরিষেবাও চালু হতো, তাহলে তাঁরা শহরে এসে দু’টি পয়সা রোজগার করতে পারতেন।