কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে অশোকনগর পুরসভার উদ্যোগে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাতৃসদন তৈরি করা হয়। এখানে আউটডোর পরিষেবার মতো ইন্ডোর পরিষেবাও শুরু করা হয়েছিল। মোট ৩০টি বেড ও উন্নতমানের অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। সিজার, গলব্লাডার স্টোন, অ্যাপেনডিক্স সহ নানান অপারেশন হতো। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে চিকিৎসকের সমস্যা শুরু হয়। হাসপাতালের একমাত্র রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসক কাজ ছেড়ে দেন। এরপর থেকে পুরসভার তরফে হন্যে হয়ে চিকিৎসক খোঁজার কাজ শুরু করা হয়। ২০১৬ সালে অশোকনগর ও হাবড়া এলাকার মোট ৬৫ জন চিকিৎসককে চিঠি দিয়ে বৈঠকে আহ্বান করা হয়। লক্ষ্য ছিল মাতৃসদনের বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ নেওয়া ও আরএমও ঠিক করা। কিন্তু ওই বৈঠকে মাত্র সাত জন ডাক্তার উপস্থিত হলেও কেউ আরএমও হিসেবে থাকতে রাজি হননি। ফলে গত চার বছর ধরে ইন্ডোর পরিষেবা ও অপারেশন থিয়েটার বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
তবে আউটডোর ও চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্ত্রীরোগ, শল্য, শিশু, চর্ম সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত আসছেন। বিপিএল ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে ও সাধারণ মানুষ ১৫০ টাকা ফিজ দিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারেন।
এদিকে, মাতৃসদনের মতোই পুরসভার চেস্ট ক্লিনিক বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। আগে এখানে এক্সরে সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু সবই কার্যত খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাতৃসদনকে একেবারে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে। বনগাঁ ও মধ্যমগ্রাম পুরসভা এলাকায় মাতৃসদন সাফল্যের সঙ্গে চললেও অশোকনগর পুরসভার গাফিলতি ও অপদার্থতার কারণে তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই বিষয়ে পুরসভার প্রশাসক প্রবোধ সরকার বলেন, মাতৃসদনের ইন্ডোর চালু করার জন্য কমপক্ষে দু’জন আরএমও দরকার। আমরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসকের খোঁজ চালাচ্ছি। কিন্তু কেউই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সেকারণে ইন্ডোর ও অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি সর্বত্র চিকিৎসকের খোঁজ চালাচ্ছি। নিজস্ব চিত্র