কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চাইল্ড হোমগুলিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোখার স্বার্থে চলা জনস্বার্থ মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের অন্তত পাঁচটি দপ্তর রিপোর্ট দাখিল করে। শ্রম দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন মাসে ৫৩৪টি সংস্থায় অভিযান চালিয়ে ২৮৬টি আইনভঙ্গ করার বিষয় চিহ্নিত হয়েছে। সেই মতো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কয়েকটি জেলায় শিশু অধিকারভঙ্গের কোনও ঘটনাই নেই। সেইসব জেলায় কেমন তদন্ত হয়েছে, তার রিপোর্ট চায় বেঞ্চ। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় এমন অভিযান নিয়মিতভাবে চালাতে বলা হয়েছে। চাইল্ড লেবার (প্রহিবিশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ১৯৮৬ অনুযায়ী হওয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ নিম্ন আদালতগুলিকে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুকে ভিক্ষা করতে বাধ্য করানো, তাদের অপহরণ এবং অনলাইনে শিশুর অমর্যাদা করাকেও অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এও জানানো হয়, উত্তর ২৪ পরগনায় সাম্প্রতিককালে ১২০টি অপহরণ, একটি খুন ও একটি পাচারের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ওদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী কোচবিহারে ৬১টি বাল্যবিবাহ আটকানো গিয়েছে। যদিও সরকারি হস্তক্ষেপের আগে সাতটি বিয়ে হলেও অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। দার্জিলিঙে দু’টি, মালদহে ছয়টি এমন বিয়ে আটকানো গিয়েছে। কিন্তু, বেঞ্চ আবারও জানিয়েছে, শিশু অপহরণ ও বাল্যবিবাহের পিছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য কী, তার তদন্ত দরকার। পুলিস তা তদন্তসাপেক্ষে খতিয়ে দেখুক। পাশাপাশি সব পকসো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর ফৌজদারি আইন অনুযায়ী বয়ান নথিভুক্ত করতে পুলিস আগের চেয়ে তৎপর হয়েছে বলে সরকারি আইনজীবী বেঞ্চকে আশ্বস্ত করেন।
অন্যদিকে, ধ্রুবাশ্রমের নিখোঁজ ১৩ শিশুকে এখনও না-পাওয়ায় বেঞ্চ উষ্মা প্রকাশ করে বলেছে, পরবর্তী শুনানির আগে তাদের না পাওয় গেলে তদন্তভার হস্তান্তর করা হতে পারে।