কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার বিষয়ে এতদিন রাজ্য মৎস্য দপ্তর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কারণ, বায়োফ্লক পদ্ধতি রাজ্যে কতটা জনপ্রিয় হবে, তা নিয়ে আধিকারিক ও মৎস্য গবেষকদের মধ্যে সন্দেহ ছিল। তাছাড়া রাজ্যে পুকুর, জলা জায়গা বা ঝিলের অভাব নেই। এই পরিস্থিতিতে উন্নত মানের ট্যাঙ্কে অক্সিজেন যুক্ত বাতাস পাঠিয়ে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মাছ চাষের এই নয়া পদ্ধতি অর্থনৈতিকভাবে আদৌ কতটা লাভজনক হবে, সেই প্রশ্ন এখনও রয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে বহু যুবক মাছ চাষ শুরু করেছেন। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও পদ্ধতির অভাবে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেও লাভের মুখ দেখেননি সিংহভাগ চাষি। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষামূলকভাবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে জেলাভিত্তিক মাছ চাষ শুরু করতে চাইছে মৎস্য দপ্তর। গত ২৫ জুনের চিঠিতে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি সহ রাজ্যের মোট ১৪টি জেলায় ৪০টি বায়োফ্লক প্রজেক্ট তৈরি করা হবে। মোট ছ’টি ট্যাঙ্ক সহ অন্যান্য সামগ্রী মিলিয়ে প্রতিটি প্রজেক্ট করতে খরচ হবে আট লক্ষ টাকা। তার মধ্যে কোনও স্বসহায়ক দল এই প্রকল্প করতে এগিয়ে এলে তাদের ৬০ শতাংশ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ করতে চাইলে তাঁকেও ৪০ শতাংশ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে মাছ চাষের জন্য মাছের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু রাজ্যে মাছের খাবার সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় না বলে চাষিরা অভিযোগ করেন। বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির তৈরি মাছের খাবার অনেক বেশি দাম দিয়ে কেনার ফলে চাষে লাভ কমে যায়। সেকারণে বহু চাষি চিরায়ত পদ্ধতিতে মাছ চাষ করেন। মৎস্য দপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে প্রতি বছর ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন মাছের খাবার প্রয়োজন। কিন্তু উৎপাদন হয় মাত্র এক লক্ষ মেট্রিক টন। সেকারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছোট আকারে মাছের খাবার তৈরির প্ল্যান্ট বসানো প্রয়োজন। এইসব প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ঘণ্টায় আড়াই কুইন্টাল মাছের খাবার তৈরি করা সম্ভব হবে। প্রতিটি প্ল্যান্ট করতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা। রাজ্যের ১৪টি জেলায় এমন ৫০টি মাছের খাবার তৈরির প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে।