কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার তথা কদম্বগাছির করোনা হাসপাতালের নোডাল অফিসার সুব্রত মণ্ডল বলেন, এদিন সকালে বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই বৃদ্ধা বর্তমানে করোনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু বেড নিশ্চিত না করে কেন ওই রোগীকে রেফার করে দেওয়া হল, তা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি পুরসভার ঘোলা এলাকায় ৭৪ বছর বয়সি বৃদ্ধার ইউরিন ইনফেকশন ও বুকে জল জমার সমস্যা ছিল। গত ২১ তারিখ তাঁর করোনা ধরা পড়ে। ওইদিন তাঁকে কদম্বগাছির করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ফোন করলে জানানো হয়, আপনাদের রোগী করোনা মুক্ত হয়েছেন। ওনাকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেওয়া হবে। কিন্তু অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানিয়ে, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বৃদ্ধাকে আর জি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সের চালক বৃদ্ধার পরিবারকে ফোনে জানান, আপনাদের রোগীকে আর জি কর ভর্তি নেয়নি। বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাত থেকে রোগীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি। এখন কদম্বগাছির করোনা হাসপাতালের বাইরে রয়েছি। রোগী অ্যাম্বুলেন্সের সিটে শুয়ে রয়েছেন। এই কথা শুনে দৌড়ে আসেন বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তীব্র বচসা ও ঝামেলা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ওই বৃদ্ধাকে সকাল ১০টা নাগাদ করোনা হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। বৃদ্ধার নাতি মনীশ দে বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্স চালকের ফোন পেয়ে কদম্বগাছি দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বিবস্ত্র ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঠাকুমা পড়ে রয়েছেন। চালক বলছেন, রাতভর ঘুরলেও করোনা রয়েছে এই সন্দেহে কোনও হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠাকুমাকে ছাড়ার সময় আমাদের জানায়নি। রোগী গেটের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে পড়ে থাকলেও ওরা ঢোকাতে চায়নি। আমরা এই গাফিলতির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি চাই।