কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুক্রবার এশিয়ার বৃহত্তম ফুল বাজার ঘুরে দেখা গেল, রজনীগন্ধার ঝুড়ো ফুল কিংবা গাঁথা মালা বিকোচ্ছে জলের দামে। লকডাউনের আগে ছোট রজনীমালার (২০ পিস) পাইকারি দাম ছিল ২০০-২৫০ টাকা। সেই দাম এখন কমে হয়েছে ২০-৩০ টাকা। এক পাইকারি বিক্রেতা জুম্মান আলি বিশ্বাস জানান, ‘চলতি বছরে রজনীর ফলন খুব ভালো হয়েছে। তবে গত তিনমাস বিক্রি-বাটা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এমনকী, সমস্ত মন্দির খুলে গেলেও আশানুরূপ চাহিদা বাড়েনি।’ তার উপর ট্রেন বন্ধ থাকায় জেলার বিভিন্ন অংশে গিয়ে ফুল-মালা বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বহু ফুল পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেকারণেই দামের এই পতন।
কালী এবং শিবের আরাধনায় অন্যতম উপকরণ জবার মালা এবং আকন্দ মালা। এই দুই ফুলের অবস্থাও তথৈবচ। জবা ফুলের মালার দাম প্রতি পিস ১০-১২ টাকা থেকে কমে টার-পাঁচ টাকায় এসে ঠেকছে। দেবাদিদেবকে তুষ্ট করতে মল্লিকঘাট বাজারে ২০ পিস আকন্দ মালা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ টাকায়। যা লকডাউনের আগে কিনতে গেলে ১০০ টাকা দিতে হতো ক্রেতাদের।
ব্যবসায়ী এবং ক্রেতামহলের চিন্তা বাড়াচ্ছে গাঁদা ও গোলাপ। হলুদ গাঁদার মালার পাইকারি বাজার দর ৩০০ টাকা (২০ পিস)। যা কি না, আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। কার্তিক মণ্ডল নামে এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘উম-পুন বিপর্যয়ে গাঁদা চাষের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ফুল ঝরে গিয়ে নষ্ট হয়েছে। জোগান কম হওয়ায় দাম বেড়েছে বেশ খানিকটা।’ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সীমিত অতিথি নিয়ে বিয়ের মরশুম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বহু ক্রেতা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য গোলাপ কিনছেন। তাই গোলাপের দাম বেশ চড়া। মল্লিকঘাটে প্রতি ৫০ পিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীদের মতে, প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলেও তাদের তরফ থেকে তেমন কোনও সুবিধা মিলছে না। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারের প্রবেশপথে স্যানিটাইজিং গেট বসানো হোক। যাতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা হলেও আটকানো যায়। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে বড়ই উদাসীন মল্লিকঘাটের বেশ কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী। এদিন গোটা এলাকা ঘুরে দেখা গেল, মাস্ক ছাড়াই ব্যবসা করছেন বেশিরভাগ মানুষ। - নিজস্ব চিত্র