বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সম্প্রতি, কেএমডিএ’র চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ব্রিজ বিশেষজ্ঞ কমিটি শহরের ১১টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানেই শিয়ালদহ উড়ালপুলের নীচ থেকে হকার মার্কেট পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করে কমিটি। বন্ধ করতে বলা হয়েছে ব্রিজের উপর ভারী যান চলাচলও। সে ক্ষেত্রে ‘হাইট বেরিয়ার’ বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অরবিন্দ সেতু, বাঘাযতীন সেতুর তলা থেকেও দোকানপাট অন্যত্র সরানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যবেক্ষণ, অরবিন্দ সেতুর তলায় পূর্বদিকের বিশাল এলাকা জুড়ে ক্ষুদ্র শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। বেশ কয়েকটি অফিসও তাদের নজরে এসেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর স্থায়ী দোকান। সেতুর কাঠামোর উপর এগুলি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে কাঠামোর ভিতরের অংশ। শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের নীচের হকার মার্কেট নিয়েও একই পর্যবেক্ষণ কমিটির।
স্টেশনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতেই গড়ে তোলা হয় শিয়ালদহ উড়ালপুল। নির্মাণকাজ শুরু ১৯৭০ সালে। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অজয় মুখোপাধ্যায়। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই সেতুর নীচে ব্যবসা শুরু করেন বহু বেকার যুবক-যুবতী। সেই থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তাঁরা। জামা-কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, হোটেলও গজিয়ে উঠেছে সেতুর তলায়। ২০১৭ সালে ফ্লাইওভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছিল কেএমডিএ’কে। তার পর হকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য। সূত্রের খবর, ফ্লাইওভার ছেড়ে কোনও হকারই অন্য কোথাও সরতে চাইছেন না। কথায় কথায় বহু হকারই শনিবার বলেছেন, ‘লকডাউনের জেরে প্রচণ্ডভাবে ব্যবসা মার খেয়েছে। এই মুহূর্তে সরে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।’ পরবর্তী সময়ে সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে সেই সুযোগ তাঁরা নেবেন কি না, তাও স্পষ্ট করেননি হকাররা। ফাইল চিত্র