বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এসইউসিআইয়ের অভিযোগ, দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুধাংশু জানাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পাঁচজন কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। অন্যদিকে, শাসকদলের যুবনেতা গণেশ মণ্ডল বলেন, এসইউসিআই খুনের রাজনীতি করে আমাদের নেতা অশ্বিনী মান্নাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আরও এক কর্মী ভোলানাথ গিরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তল্লাশি চলছে। এখনও অবধি ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৯টি আসন রয়েছে। তারমধ্যে গত নির্বাচনে এসইউসিআই ১১টি, সিপিএম সাতটি এবং তৃণমূল একটি আসন পেয়েছিল। পরে সিপিএমের সাতজন তৃণমূলে যোগ দেন। অন্যদিকে, এসইউসিআই’র দু’জন দল ভেঙে শাসকদলে চলে গিয়েছিলেন। ১০ জনের সমর্থন নিয়ে গরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। এরপর আবার এসইউসিআইয়ের দু’জন ফিরে আসেন পুরনো দলে। ফলে তাদের দখলে আসে ১১টি। তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কমে হয় আট। তৃণমূল এরপরই মরিয়া হয়ে ওঠে ক্ষমতা দখলে রাখতে। এই পর্বে পুরোটাই নেতৃত্ব দেয় দলের যুব সংগঠন। কোণঠাসা হয়ে পড়ে মূল সংগঠন। দু’মাস বাদেই এই পঞ্চায়েতে আস্থাভোট। এর মধ্যে গত ২ জুন কুলতলির বিডিও অফিসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে ডেপুটেশন দেয় এসইউসিআই। ক্ষমতা দখলের আশা ও দুর্নীতি ফাঁস—দুটি কারণেই সংঘাত আরও তীব্র হয় দু’দলের।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। অভিযোগ, যুব তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্না দলবল নিয়ে বাইকে করে আসে মৈপীঠের বৈকুণ্ঠপুরের ৪ নম্বর পাড়ায়। এসইউসিআই নেতা সুধাংশু জানার বাড়ি সহ আরও ১০ জন সমর্থকের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর, লুঠপাট চালায় তারা। এমনকী, তৃণমূলের মাদার সংগঠনের নেতাদের বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। এরপরেই এলাকার মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। নগেনআবাদ এলাকায় গণপিটুনিতে মারা যান অশ্বিনী মান্না। মারধর করা হয় আরেক নেতা ভোলানাথ গিরিকেও। এরপর শনিবার সকালে বৈকুণ্ঠপুরে ঘর থেকে এসইউসিআই নেতা সুধাংশু জানার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যা গীতা জানা বলেন, বাড়ি থেকে বের করে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর স্বামীকে। বাড়িতেও আগুন দিয়েছে তৃণমূলের লোকজন।
এছাড়াও মৈপীঠের একাধিক জায়গায় এসইউসিআই’র পঞ্চায়েত সদস্য, উপপ্রধান ও কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শাসকদলের স্থানীয় যুব সভাপতি গণেশ মণ্ডলের মদতে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ এসইউসিআইয়ের প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদারের। তিনি বলেন, উম-পুনের দুর্নীতি ঢাকতে ও ক্ষমতা দখল করতে এই খুন, হামলা করেছে তৃণমূলের যুব শিবির। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকায় পুলিসের টহলদারি। -নিজস্ব চিত্র