পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মধ্য কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এলাকায় সাইকেলের প্রায় প্রতিটি শো-রুমে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ই-সাইকেল। এই সাইকেলের যাত্রা ধকলহীন এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন হওয়ায় ক্রেতাদের মন টানছে সহজেই। একবার ফুল চার্জ দিলেই সাইকেল চলবে নন-স্টপ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রতিটি সাইকেলের সঙ্গে রয়েছে চার্জার। তিন থেকে চার ঘণ্টা চার্জ দিলেই শহর দাপানোর জন্য তৈরি এই সাইকেল। সাইকেলে চার্জ কতটা অবশিষ্ট তাও নির্দেশ করবে হাতলে লাগানো একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। চার্জ শেষ হলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, প্যাডেল করে বাকি পথ অতিক্রম করার সুবিধা তো থাকছেই। সাইকেল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই ইলেকট্রনিক্স সাইকেলে দু’রকম ভেরিয়েন্ট-এর ব্যবস্থা থাকছে, ‘গিয়ার যুক্ত এবং গিয়ারহীন। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক কাঠামো এবং ডিজাইনের সাইকেল তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ব্যাটারিচালিত হওয়ায় এর গতি সাধারণ সাইকেলের চেয়ে বেশি। সেকারণে গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘ব্রেক প্যাড’ রয়েছে। উল্লেখ্য, এই সাইকেলে অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এআরএআই)-এর শংসাপত্র থাকায় ক্রেতাদের কোনও ইনসিওরেন্স, পলিউশন সার্টিফিকেট লাগবে না, পরতে হবে না হেলমেটও।
তবে এই সাইকেলের দামই ভাবাচ্ছে ক্রেতাদের। বৈশিষ্ট্য বিশেষে এই সাইকেলের দাম ২২ হাজার টাকা থেকে শুরু। গিয়ার যুক্ত সাইকেলের দাম আরও বেশি। প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি। ফলে ক্রেতারা ই-সাইকেলের খোঁজ চালালেও বিক্রির মুখ দেখতে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ঘুরে দেখা গেল, বহু মানুষ দোকানে গিয়ে ই-সাইকেলের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে দাম শোনামাত্র ভ্রু কপালে ওঠার জোগাড়। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্রেতা বলেন, করোনা আবহে ভিড় বাসে যাতায়াত করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ই-সাইকেলের খোঁজে এসেছিলাম। তবে দাম সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। চাহিদার নিরিখে বিক্রি না থাকায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বিক্রেতারাও। ওই এলাকার এক নামজাদা বিপণী সংস্থার মালিক জানিয়েছেন, লকডাউন এবং জ্বালানি খরচ বৃদ্ধির ফলে সাইকেলের দাম আগের তুলনায় প্রায় হাজার-বারোশো টাকা বেড়ে গিয়েছে। যদিও ই-সাইকেলে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি এবং বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য থাকায় এর দাম এমনিই বেশি। তবে প্রস্তুতকারক সংস্থা যদি কম খরচে এই সাইকেল তৈরি করতে পারে, তাহলে আগামী দিনে চাহিদার সঙ্গে বিক্রির সামঞ্জস্য আসবে।