বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য ২,৫০০ হেক্টর জমি প্রয়োজন। মূলত সুন্দরবন ঘেঁষা ১৩টি ব্লকে এই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, মথুরাপুর ২ এবং ক্যানিং ১ ও ২ নম্বর ব্লক এলাকায় ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ করা হবে। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য ১,৬০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি জমির খোঁজ চলছে। সুন্দরী, গরান প্রভৃতি গাছের জন্য বিশেষ মাটি প্রয়োজন। সেই মতো বন দপ্তরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিডিও’রা কাজ করছেন। জেলা থেকেও নিয়মিত এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একসঙ্গে এত গাছ লাগানো হচ্ছে, সেটা ভালো উদ্যোগ। তবে সব গাছই যে বাঁচবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই সমস্যার সমাধানও বাতলেছে জেলা প্রশাসন। এই কাজের নোডাল অফিসার জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ৬০০ হেক্টর জমিতে আলাদা করে গাছ লাগানো হবে। এরফলে অন্তত দেড় কোটি বাড়তি গাছ পাওয়া যাবে। ফলে কিছু গাছ মরে গেলেও সমস্যা হবে না।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ম্যানগ্রোভের বীজ কোনও নার্সারিতে পাওয়া যায় না। ওই গাছ থেকেই বীজ মাটিতে পড়ে নতুন গাছের জন্ম নেয়। এগুলি মূলত সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এই কাজ করার জন্য বন দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ম্যানগ্রোভ ছাড়াও জেলাজুড়ে প্রায় এক কোটি অন্যান্য গাছ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কাজের জন্য অন্তত ২৫-৩০ হাজার কর্মীকে নিযুক্ত করা হবে। গোটা প্রকল্পের জন্য খরচ হবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।