পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ৫৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বাড়ি সিঙ্গুরে। তিনি কর্মচারীদের সঙ্গে গৌরীবাড়িতে মিষ্টির দোকানেই থাকতেন। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দোকানের কর্মীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত করোনা রিপোর্ট মিলছে, ততক্ষণ ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয় বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি। ফলে সেই দেহ নিয়ে এসে মিষ্টির দোকানে রাখা হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়ায় ওই অঞ্চলে।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় করোনা উপসর্গ দেখে ২৯ জুন বেসরকারি ল্যাব থেকে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসতে সময় লাগছিল। গৌরীবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার পর খবর দেওয়া হলেও পুলিস প্রথমে কোনও পদক্ষেপ করেনি। স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও করোনা রিপোর্ট না থাকায় তিনিও সার্টিফিকেট দিতে চাননি।
এসবের মধ্যেই বুধবার রাত কেটে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা মানিকতলা থানায় গিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানায়। পুলিসি হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার সকালে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তা পজিটিভ। পুরসভা এবং স্বাস্থ্যদপ্তরে খবর পৌঁছয়। এরপর পুরসভার হস্তক্ষেপে মৃতদেহ সৎকার হয়। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কোথাও করোনায় আক্রান্তের মৃত্যু হলে পুরসভা জানতে পারলেই পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু যদি কেউ খবর না দেয়, তাহলে আর কী করবো! স্থানীয় থানা কিছু জানতো কি না, সেই ব্যাপারে বলতে পারবো না। আমাদের গাড়ি কম। কারণ, কোভিড গাড়ি অনেকেই চালাতে চাইছেন না। কিন্তু তারপরেও পুরসভা যতটা সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করছে। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার একটি বহুতল আবাসন থেকেও এরকম একটি ঘটনা সামনে আসে। বাড়িতেই ৪৮ ঘণ্টা পড়েছিল করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সেই আবাসনে ৫-৬ জনের সোয়াব টেস্ট বা লালা রসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।