কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বালি, বেলুড়, লিলুয়া, সালকিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বড় রাস্তাগুলির পাশেও এরকম ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত এখনও দগদগে হয়ে রয়েছে। বেলুড়ের বিবেকানন্দ রোড, প্রফেসরপাড়া, বেলুড় স্টেশন রোডে একাধিক গাছের গুঁড়ি কোথাও রাস্তার একাংশ দখল করে, কোথাও নিকাশিনালার উপর পড়ে থাকতে দেখা গেল। লিলুয়া রেল কলোনি এলাকা এমনিতেই সামান্য বর্ষায় হাঁটু জলের নীচে চলে যায়। সেখানকার পিয়ার্স রোড রেলের আবাসনের একটি পাঁচিল বিপজ্জনকভাবে পড়ে রয়েছে ঝড়ের পর থেকে। লিলুয়ার পূর্বপাড়া, বীরপাড়া এলাকায় কয়েকটি জায়গায় রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের জন্য পুরো গাছকে কোনওভাবে একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বালির জি টি রোডের পাশে একাধিক ল্যাম্পপোস্ট এখনও রাস্তার একপাশে তারের জটলা সহ পড়ে রয়েছে। এজন্য ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই তারে পা জড়িয়ে পড়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। এছাড়া হাওড়ার সর্বত্র কোথাও পুরসভার ভ্যাটের পাশে, কোথাও রাস্তার একধারে ঝড়ে ভেঙে পড়া ডালপালা জমা করে রাখা হয়েছে। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণের গাড়ি করে এগুলি নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এক মাস কেটে গেলেও তা হয়নি বলে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও গাছের গুঁড়িগুলি একইভাবে পড়ে থাকার কারণ হল করাতের সমস্যা। যে বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ঝড়ের ভেঙে পড়া ডালপালা কেটে সরানো হয়, তা দিয়ে গাছের গুঁড়িগুলি কাটা সম্ভব নয়। এগুলি মানুষচালিত করাত দিয়েই কেটে সরাতে হবে। এই কাজ করতে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, আশা করা হচ্ছে, আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে গাছের গুঁড়িগুলি সরানো হয়ে যাবে। এর জন্য কোথাও কোথাও নিকাশির সমস্যা হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।