নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়া শহরে করোনা সংক্রমণে কিছুটা রাশ টানা গেলেও তা ক্রমশ লাগামছাড়া হচ্ছে জেলার গ্রামীণ অংশে। শনিবার জেলা প্রশাসনের তরফে যে কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা থেকেই এই বিষয়টি পরিষ্কার। এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, হাওড়া পুরসভা এলাকায় মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৬টি। গত ২৪ মে’র তালিকায় শুধুমাত্র পুরসভা এলাকাতেই এই সংখ্যা ছিল ৮৮। ফলে হাওড়ায় লাগাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও শহরের ক্ষেত্রে এতদিনে কিছুটা আশাপ্রদ ফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন পুর ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তারা।
তবে উলুবেড়িয়া পুরসভা সহ গ্রামের দিকে বিপদ ক্রমশ বাড়ছে। এদিনের তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে চারটি, বাগনান ব্লকে তিনটি, বালি-জগাছা ব্লকে ১০টি, ডোমজুড়ে দু’টি, সাঁকরাইল ব্লকে চারটি, পাঁচলায় ছ’টি, শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকে পাঁচটি, শ্যামপুর ২ নম্বর ব্লকে দু’টি, উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকে সাতটি, উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকে তিনটি, আমতা ১ এবং ২ নম্বর ব্লকে ১১টি, জগৎবল্লভপুরে চারটি এবং উদয়নারায়ণপুর ব্লকে ২৩টি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। সব মিলিয়ে হাওড়া জেলায় মোট ১২১টি কন্টেইনমেন্ট জোনের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। জেলায় ইতিমধ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছুঁতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, সত্যবালা আইডি হাসপাতালের পর ঘুসুড়ির টি এস জয়সওয়াল হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। উত্তর হাওড়ার এই সরকারি হাসপাতালে এতদিন করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগের চিকিৎসাই মূলত হচ্ছিল। শুক্রবার হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়ে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই জয়সওয়াল হাসপাতালের ২৬০টি বেডই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজে লাগানো হবে।