বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় সারা বছর ধরেই পানীয় জলের সঙ্কট লেগে থাকে। বড় কাঁঠালিয়া ও চক কাঁঠালিয়া মৌজায় এখনও নলবাহিত পানীয় জলের পরিষেবা নেই। নলকূপগুলিতে পানযোগ্য জল ওঠে না। বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের পানীয় জল কিনে খেতে হয়। ২০ লিটার জলের জারের দাম নেয় ৩০ টাকা। যাঁদের জল কিনে পান করার সামর্থ্য নেই, তাঁদেরও কিনতে বাধ্য হতে হয়। দুই মৌজার বাসিন্দারা পানীয় জলের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন। এবার তাঁদের দাবি পূরণ হতে চলেছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য পাঁচ মৌজায় পাইপ লাইন থাকলেও সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছয় না। সরু সুতোর মতো জল পড়ে বেশ কিছু এলাকায়। কোথাও ঘোলা জলে আসে, যা ব্যবহার করা যায় না। বাবনপুর সহ বহু জায়গায় পানীয় জল নিয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ রয়েছে।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে জল প্রকল্পের ঘোষণা হয়। ২০১৯ সালে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে আসে। মোট চারটি পাম্প হাউস নির্মাণ হবে। সেগুলি হল, বাবনপুর, জাফরপুর, মোহনপুর ও চক কাঁঠালিয়ায়। ভূগর্ভস্থ জল তুলে পরিস্রুত করার পর পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ হবে। পাম্প হাউস নির্মাণের জন্য কিছুদিন জমি নিয়ে জট পাকিয়েছিল। তা কেটে গিয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।
লকডাউনের কারণে জল প্রকল্পের কাজ থমকে ছিল। এখন সরকারি দপ্তর প্রায় সব খুলেছে। দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ হলেই শিলান্যাস হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হবে বরাত পাওয়া সংস্থাকে। উল্লেখ্য, বারাকপুর কর্পোরেশন গঠিত হলে মোহনপুর তার অন্তর্ভুক্ত হবে। কর্পোরেশনের আওতায় এলে উন্নয়নমূলক আরও বেশি কর্মকাণ্ড ঘটবে বলে পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ বুক বেঁধে রয়েছেন।