ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ফুলবাগান থানা এলাকায়। ফুটপাথে উঠে গিয়ে একটি গাড়ি ধাক্কা মারল দুই শিশু সহ ৪ জনকে। জানা গিয়েছে, সে সময় ওই শিশু দু’টি ফুটপাথে খেলছিল। তড়িঘড়ি চারজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কোথাও স্থানীয় খাবারের প্রতি প্রেম তো কোথাও দেশপ্রেম। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর ও হুগলি লোকসভার প্রচারের মুখ্যভূমিকায় ছিল ওই খাদ্য ও দেশপ্রেম। যা নিয়ে চর্চা আর তরজা হয়েছে দিনভর। এদিন প্রবল দাবদাহ থাকলেও নবীন থেকে প্রবীণ প্রার্থীরা সেসব তোয়াক্কা না করেই প্রচার করেছেন।
পিছিয়ে থেকে শুরু করেছেন প্রচার। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল এবং সিপিএম প্রার্থী যখন প্রায় অর্ধেক এলাকা চষে ফেলেছেন, তখন সবেমাত্র পথে নেমেছেন বিজেপি’র প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তাই শুরু থেকেই প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আমতায় গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। বৃহস্পতিবার আমতার সাবসিট গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় তাঁর প্রচার গাড়ি থামিয়ে গ্রামবাসীরা পানীয় জলের দাবি জানাতে থাকেন।
গুজরাত এটিএস ও ডিআরআই কলকাতা বন্দর থেকে মাদক উদ্ধার করেছিল দু’বছর আগে। সেই ঘটনার তদন্ত এবার নতুন মোড় নিল। এই মাদক কেনার টাকা শাহজাহানের সংস্থা থেকে মাঝখানে একটি সংস্থা ঘুরে যায় শরিফুল এন্টারপ্রাইজে।
পাইপ দিয়ে জল দেওয়ার সময় দুর্দান্ত স্বভাবের বাঘগুলিও বসে থাকছে চুপটি করে। তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত। মানুষ তো বটেই জীবজন্তুদেরও প্রাণান্ত। সামান্য ছায়া পেলেই বসে বিশ্রাম নিতে শুরু করে দিচ্ছে তারা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির মাংসের দাম। চাহিদার তুলনায় জোগান কম বলেই দাম চড়ছে, বক্তব্য বিক্রেতাদের। এমনিতে পাঁঠার মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। ফলে মুরগি আর আলু দিয়ে ঝোল বানিয়ে মাংস খাওয়ার সাধ মেটায় বাঙালি।
বৃহস্পতিবার যাদবপুর লোকসভার বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রচার ছিল বারুইপুরে। তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের। তাঁরা সৃজনের হয়ে প্রচারে নামবেন বলে আশ্বাস দেন।
কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি। জয়সলমীর ৩১। যোধপুর ৩৪। বারমের ৩১। জয়পুর ৩৩। বিকানের ৩৬ ডিগ্রি। সবমিলিয়ে দাঁড়াল কী? গরমের নিরিখে রাজস্থানকে হারিয়ে দিয়েছে কলকাতা। চিরকালের তপ্ত রাজস্থানও নাতিশীতোষ্ণ কলকাতার থেকে শীতল! এমনও সম্ভব?
বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: লকডাউনেই শেষ। লকডাউনেই শুরু। টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শেষ করেই নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল রাজ্য। বরাত পেয়েছে লারসন অ্যান্ড টুব্রো। বরাদ্দ ৩২৮ কোটি টাকা। ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ার, প্রোকিওরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) মডেলে তৈরি হবে ব্রিজ। দেখতে হবে অনেকটা ধনুকের মত। দৈর্ঘ্য দু’কিলোমিটার। থাকছে চার লেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী দেড় বছরের মধ্যেই নতুন ব্রিজ পাবেন শহরবাসী। সরকারি সূত্রে খবর, সয়েল টেস্টিংয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে ঠিকাদার সংস্থাটি। মাটির ধারণ ক্ষমতার উপরই নির্ভর করছে ব্রিজ নির্মাণের পুরো পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনাকে আর ঝালিয়ে নেওয়া হবে তৃতীয় কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে। তবেই মিলবে চূড়ান্ত অনুমোদন। প্রাথমিক পর্বের এই কাজ মাসখানেকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সরকারি কর্তারা।
উত্তর কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলির যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল টালা ব্রিজ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়তেই ৭৫ বছরের পুরনো এই ব্রিজ নিয়েও টনক নড়ে রাজ্যের। সমস্ত ব্রিজ, উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের অধীনস্থ সংস্থা ‘রাইটস’ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের রিপোর্টে টালা ব্রিজকে বিপজ্জনক আখ্যা দেয়। গত বছর পুজোর সময় দেশের নামকরা সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নাকে দিয়ে ব্রিজটি আরও একবার পরীক্ষা করান মুখ্যমন্ত্রী। রায়নার রিপোর্টও একই কথা বলেছিল। বিশেষ করে রেল লাইনের উপরের অংশের অবস্থা ‘অত্যন্ত খারাপ’ বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টে। তাই গোটা ব্রিজটি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন রায়না।
তারপর আর দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী। নতুন টালা ব্রিজ নির্মাণে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করেন তিনি। ইঞ্জিনিয়াদের নিয়ে পৃথক টিম তৈরি করে পূর্তদপ্তরও। রেলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও চলে। শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ভেঙে ফেলার পুরো টাকাটাই বহন করতে হয় রাজ্যকে। তখনও কোভিডের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়নি। ঘোষিত হয়নি লকডাউনও। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল নিত্যযাত্রীদের। ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হলে ভাঙ্গার কাজে গতি আসে।
ভাঙার কাজ যখন চলছে, তখনই পূর্তদপ্তর নতুন ব্রিজ তৈরি করার জন্য টেন্ডার ডাকে। বরাত পায় এল অ্যান্ড টি। জানা গিয়েছে, রেলের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই নতুন ব্রিজের রূপরেখা তৈরি তৈরি হতে চলেছে। যা শহরের একটি অন্যতম ব্রিজ হয়ে দাঁড়াবে। এর আগেও শহরে গার্ডেনরিচ উড়ালপুল সহ বেশ কয়েকটি ব্রিজ তৈরি করেছে এল অ্যান্ড টি। নতুন ব্রিজটি দেখতে হবে অনেকটা মা উড়ালপুলের মতো। অন্তত, প্রাথমিক রূপরেখা তাই বলছে।
উত্তর কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলির যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল টালা ব্রিজ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়তেই ৭৫ বছরের পুরনো এই ব্রিজ নিয়েও টনক নড়ে রাজ্যের। সমস্ত ব্রিজ, উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের অধীনস্থ সংস্থা ‘রাইটস’ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের রিপোর্টে টালা ব্রিজকে বিপজ্জনক আখ্যা দেয়। গত বছর পুজোর সময় দেশের নামকরা সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নাকে দিয়ে ব্রিজটি আরও একবার পরীক্ষা করান মুখ্যমন্ত্রী। রায়নার রিপোর্টও একই কথা বলেছিল। বিশেষ করে রেল লাইনের উপরের অংশের অবস্থা ‘অত্যন্ত খারাপ’ বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টে। তাই গোটা ব্রিজটি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন রায়না।
তারপর আর দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী। নতুন টালা ব্রিজ নির্মাণে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করেন তিনি। ইঞ্জিনিয়াদের নিয়ে পৃথক টিম তৈরি করে পূর্তদপ্তরও। রেলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও চলে। শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ভেঙে ফেলার পুরো টাকাটাই বহন করতে হয় রাজ্যকে। তখনও কোভিডের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়নি। ঘোষিত হয়নি লকডাউনও। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল নিত্যযাত্রীদের। ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হলে ভাঙ্গার কাজে গতি আসে।
ভাঙার কাজ যখন চলছে, তখনই পূর্তদপ্তর নতুন ব্রিজ তৈরি করার জন্য টেন্ডার ডাকে। বরাত পায় এল অ্যান্ড টি। জানা গিয়েছে, রেলের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই নতুন ব্রিজের রূপরেখা তৈরি তৈরি হতে চলেছে। যা শহরের একটি অন্যতম ব্রিজ হয়ে দাঁড়াবে। এর আগেও শহরে গার্ডেনরিচ উড়ালপুল সহ বেশ কয়েকটি ব্রিজ তৈরি করেছে এল অ্যান্ড টি। নতুন ব্রিজটি দেখতে হবে অনেকটা মা উড়ালপুলের মতো। অন্তত, প্রাথমিক রূপরেখা তাই বলছে।
