বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
জল সরবরাহ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি নদীর পাড়ে ১৮৬৮ সালে ব্রিটিশদের হাতে ৪৮২ একর জমির উপরে এই প্রকল্পটি তৈরি হয়। পলতা থেকে বর্তমানে জল উত্তোলিত হয়ে বি টি রোড হয়ে তা টালা জলপ্রকল্পে পৌঁছয়। সেখানে পরিস্রুত হওয়ারই পরই কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ, বিধাননগর এবং দমদম পুর এলাকায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু গঙ্গার ভাঙনে প্রকল্পের বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। যা নিয়ে আতঙ্কে পড়েন জল সরবরাহ বিভাগের কর্তারা। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, পলতা প্রকল্পের পাড় ভাঙনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সেখানে ‘স্টিল পাইলিং’ করা হবে। প্রায় ১২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় প্রকল্প বাঁচাতে।
সূত্রের খবর, গত মার্চ মাসে চীন থেকে জাহাজে ওই ‘স্টিল পাইলিং’ উপাদান আসছিল। লকডাউনের জেরে তা মাঝপথেই আটকে যায়। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়েছে বিভাগীয় আধিকারিকদের। বিভাগের এক শীর্ষকর্তার কথায়, চিন্তা দু’ক্ষেত্রে। ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে এবং পার ভেঙেই চলেছে। লকডাউন সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। এখন কাজ কীভাবে শুরু হবে, সেটা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। বর্তমানে পলতা জলপ্রকল্পে মোট ২৬২ মিলিয়ন গ্যালন জল তোলা হয়। সংশ্লিষ্ট জলপ্রকল্পের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মোট ১.৮ কিমি অংশ কার্যত ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। ভেঙেই চলেছে নদীর স্রোতের ধাক্কায়। আগে একটি বাগান জলের তলায় চলে গিয়েছে। আরও ভয়ঙ্কর চেহারা যাতে না না নেয়, তার জন্য মাটি পরীক্ষা করে ‘স্টিল পাইলিং’ দিয়ে পাড় বাঁধানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ব্রিজ অ্যান্ড রুফ সংস্থা এই কাজটি বাস্তবায়িত করবে বলেও চূড়ান্ত হয়। বিভাগীয় আধিকারিকদের কথায়, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, মাটির সঙ্গে ‘স্টিল পাইলিং’ মিশিয়ে পাড় বাঁধানো হলে, তা জলের ধাক্কায় সহজে ভেঙে পড়ে না।