অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এয়ারপোর্ট এক নম্বরে দাঁড়িয়ে সরকারি বাসে উঠে এক ব্যক্তির মন্তব্য, যা পরিস্থিতি তাতে ৬০ দিনের লকডাউন বোধহয় বৃথা গেল। কারণ, বাসস্ট্যান্ডে সামাজিক দূরত্ব বলে কিছুই নেই। কমবেশি সুর চড়ালেন অন্য যাত্রীরাও। সরকারি বাস চললেও নিয়ম মেনে মাঝরাস্তায় দাঁড়ায়নি। কারণ, বসার আসন সব পূর্ণ। অফিস যাওয়ার তাড়ায় লোকজন তাই ছুটোছুটি করেছেন। এয়ারপোর্ট থেকে উল্টোডাঙা, কাঁকুড়গাছি, মানিকতলা, খান্না কিংবা বি টি রোড সর্বত্র এক অবস্থা। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকায় যানজট আরও তীব্র আকার নেয়। ডানলপ ৯ নম্বর বাসস্ট্যান্ডেও যাত্রীরা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন হত্যে দিয়ে। আর জি কর হাসপাতালের কাছে ব্রিজের একটা অংশ বন্ধ থাকায় সেখানেও যানবাহন জট পাকিয়ে যায়। তুলনায় ধর্মতলা, ডালহৌসিপাড়া ছিল কিছুটা ফাঁকা। এদিন প্রাইভেট কার কিংবা মালবাহী গাড়ি রাস্তায় নেমেছে প্রচুর। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি তাই কিছুটা হলেও জটিল হয়েছে।
দক্ষিণে গড়িয়া ৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ড সকালে ছিল লোকে লোকারণ্য। বাসের জন্য দীর্ঘ লাইন। অটোর লাইনেও একই পরিস্থিতি। গড়িয়া প্রান্তিক বাসস্ট্যান্ডেরও হাল করুণ। সকালে বছর তিরিশের এক যুবতী বললেন, গড়িয়া থেকে রাসবিহারী আসার জন্য ৮টা বাস ছেড়ে দিতে হল। সরকার অফিস খুলতে বলছে। কিন্তু, মানুষ অফিসে পৌঁছবে কী করে? বাসের জন্য দুর্ভোগে রাসবিহারী মোড়ে বিক্ষোভও দেখায় জনতা। বাস কিংবা অটো না-মেলায় কেউ কেউ ট্যাক্সি ধরেছেন। যাদবপুর ৮বি, রাসবিহারী, টালিগঞ্জ, হাজরা, এক্সাইড মোড় সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ছবিটা একই।
এতদিন ঘরে বসে থাকা চাকরিজীবীরা এদিন দলে দলে পথে নামাতেই বাস নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। সরকারি বাস থাকলেও তার উপর ছিল অস্বাভাবিক চাপ। কয়েকটা বেসরকারি বাস বেরলেও সেখানে গাদাগাদিতে শিকেয় ওঠে করোনা-বিধি। অনেক জায়গাতেই মাঝপথে বাস আটকে যাত্রী নামিয়েছে ট্রাফিক পুলিস।
অন্যদিকে, নিউমার্কেট, সিম পার্ক মল, হগ মার্কেট, চাঁদনিচক, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণীর দোকানপাট অধিকাংশ খুলেছে। চাঁদনিচকে সকাল থেকেই ছিল ভিড়। বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা না-করেই লোকজন পুরনো মেজাজে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। গড়িয়াহাটে হকার বসলেও নিউমার্কেট চত্বরে ফুটপাত ছিল ফাঁকা। এসবের মাঝে কালীঘাট মন্দির এদিন ঘোষণা মতো খোলেনি। কারণ স্যানিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।