পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর বড় বড় গাছ এবং বৈদ্যুতিক স্তম্ভ ভেঙে পড়ে। এই গাছ কাটতে গিয়ে রীতিমতো নাকাল হয় সিভিল ডিফেন্স ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। যন্ত্রপাতি থাকলেও তা বেশ পুরনো হওয়ায় একটি গাছ কাটতে দিন কাবার হয়ে গিয়েছে। একই দশা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর ক্ষেত্রেও। যে কারণে জেলার বহু জায়গায় এখনও গাছ বা ইলেকট্রিকের পোল পড়ে রয়েছে। একদিকে রাস্তায় গাছ পড়ে থাকা, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না-থাকার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। বাধ্য হয়ে ডাকতে হয়েছে সেনা ও এনডিআরএফকে।
এদের উপর দায় চাপানো হলেও বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে এই দপ্তর, অভিযোগ এমনটাই। আইলার পর দুর্যোগ মোকাবিলায় কিছু সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। এর পরের ধাপে আরও কিছু যন্ত্রপাতি আসে। কিন্তু, সেগুলি অনেকটাই পুরনো প্রযুক্তির হয়ে গিয়েছে। তাই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কিনতে চেয়ে নবান্নে প্রস্তাব গেলেও প্রশাসনিক টালবাহানায় তা আর হয়নি।
উম-পুন পরবর্তী পর্বে প্রশাসনিক কর্তারা বুঝেছেন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে উন্নত প্রশিক্ষণ কতটা জরুরি সিভিল ডিফেন্সের। সেই কারণেই এবার এনডিআরএফের ধাঁচে
মহকুমা স্তরে রাখা হবে আপৎকালীন উদ্ধারকারী গাড়ি। ব্লক স্তরে যাতে তা রাখা যায় সেই চেষ্টাও চলছে। একটি দলে কমপক্ষে ১০ জন থাকবেন। হতাশাজনক হলেও বর্তমান ব্যবস্থায় গোটা জেলায় একটি বা বড় জোর দুটি দল রয়েছে। যে কারণে দুই ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টিম পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লেগে গিয়েছে।
পরবর্তী বিপর্যয় মোকাবিলায় গাছ এবং দেওয়াল কাটা বা বৈদ্যুতিক স্তম্ভ সরিয়ে ফেলতে বৈদ্যুতিক করাত, ছোট ক্রেন, বড় কুড়ুল থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি এগুলি হাতে পাওয়া যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।