রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কিন্তু, বাবা-মা ও ভাই মিলে কেন খুন করলেন বছর চল্লিশের মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে? বৃহস্পতিবার রাতভর পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়েন পূর্ণেন্দুর বাবা-মা। তাঁরা স্বীকার করে নেন, গত ২০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে সামলাতে গিয়ে তাঁরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরে পাভলভ হাসপাতালের কর্মী বাড়িতে এসেছিলেন পূর্ণেন্দুকে ইঞ্জেকশন দিতে। কিন্তু, তাঁর উপর বঁটি হাতে চড়াও হন পূর্ণেন্দু। এতেই সবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর সেই বঁটি কেড়ে নিয়ে পূর্ণেন্দুর উপর চড়াও হন বাবা-মা এবং ভাই। উল্লেখ্য, প্রতি ১৫ দিন অন্তর পাভলভ হাসপাতালের কর্মী পূর্ণেন্দুকে ইঞ্জেকশন দিতে তাঁদের বাড়িতে আসতেন।
তবে লালবাজারের এক সূত্র জানিয়েছে, পূর্ণেন্দুর বাবা ও মায়ের এই দাবির সত্যতা যাচাই করা হবে। পাভলভের ওই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে। এদিকে, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার পূর্ণেন্দুর ময়না তদন্ত হয়। সূত্রের খবর, ময়না তদন্তকারী চিকিত্সক গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি আঘাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের মধ্যে শ্যামপুকুর থানা এলাকায় মাস্ক পরতে না-চাওয়ায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন এক অসহায় বাবা। গোয়েন্দারা বলছেন, সেদিক থেকে বিচার করলে গড়ফা আর শ্যামপুকুর যেন দুই অসহায় পরিবারের করুণ কাহিনীর একই পরিণতি!