নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্কুলকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করল। বারাকপুর মহকুমা প্রশাসন শুক্রবার প্রতিটি পুরসভা এলাকায় একটি করে স্কুলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিক হয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিকরা ফেরার পর বারাকপুরের শশীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমে থার্মাল স্ক্রিনিং সহ প্রাথমিক পরীক্ষাগুলি হবে। তারপর তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করা হবে। সেখানে ১৪ দিন থাকার পর শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে বাড়ি ফিরতে পারবেন। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে একাধিক স্কুলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। এদিন উলুবেড়িয়া পুরভবনে এ নিয়ে এক বৈঠকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে ফিরে আসা শ্রমিকদের খাবার ও জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব খরচই পুরসভা বহন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে লোকালয়ের মধ্যে স্কুলগুলিতে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র চালু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির লোকজন ঘনঘন দেখা করতে এলে সমস্যা আরও বাড়বে। তাই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ একাংশের মানুষ।
বারাকপুরের মসজিদ মোড়ে শশীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশপাশের বাসিন্দারা পুর প্রশাসককে সেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। বরানগরে নেতাজি লো ল্যান্ড এলাকার একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হওয়ায় স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। ঘোলা থানার কর্ণমাধবপুরে মুম্বই থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্তার মুখেও পড়তে হয়। বনহুগলির একটি স্কুলেও একই কারণে বিক্ষোভ হয়। বারাকপুর ১নং ব্লকের মাঝিপাড়া ধানকল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে থাকা এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বারাসত, বনগাঁ এবং বসিরহাট মহকুমাতেও এদিন নতুন করে অনেকের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি।