নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, বারাসত, বারাকপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মওকা বুঝে অটোতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। এবার সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশি যাত্রী নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না— সরকারের এই নির্দেশের পর একাধিক রুটে কিছু চালক পুলিসের চোখ এড়িয়ে কখনও তিনজন, কখনও চারজন যাত্রীও অটোতে তুলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তবে একাধিক চালকও অভিযোগ করছেন, কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার জন্য যাত্রীরাই সামাজিক দূরত্ব বিধি না-মেনে অটোয় উঠে পড়ছেন। তখন ভাড়াও তুলনামূলকভাবে কম নেওয়া হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা অবশ্য শুক্রবার আরও একবার জানিয়েছেন, আগের ভাড়াতেই চালাতে হবে এবং একটি অটোতে একসঙ্গে দু’জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। কলকাতার ক্ষেত্রে অটোতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার ঘটনা বেশি ঘটছে ফ্লাইং অটোর ক্ষেত্রে। এদিন ভিআইপি রোডে এমন কিছু অটো নজরে এসেছে। আবার আর জি কর থেকে করুণাময়ী রুটেও কিছু অটোকে মাঝরাস্তায় অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে দেখা গিয়েছে। শোভাবাজারের দিক থেকে উল্টোডাঙা আসা কয়েকজন অটো চালকের বক্তব্য, সকালের দিকে যখন ভিড় খুব বেশি থাকছে, তখন যাত্রীরাই সামাজিক দূরত্ব না-মেনে অটোয় উঠে পড়ছেন। দিনের বাকি সময় অবশ্য যাত্রী সংখ্যা কমই থাকছে। ভাড়া চার-পাঁচ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।
বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমায় বৃহস্পতিবার থেকে অটো, টোটো চলতে শুরু করেছে। তবে খুব সামান্যই রাস্তায় নেমেছে। যাত্রীর ভিড়ও আগের মতো নেই। বারাসত, মধ্যমগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিনও বারাকপুর-ডানলপ ও বারাকপুর-শ্যামনগর রুটে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে অটো চালকদের বচসা চলেছে। এদিন অল্প কিছু অটো নেমেছিল ওই দুই রুটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভাড়া না বাড়ালেও অলিখিতভাবে বেশি নেওয়া হয়েছে।