গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবার রাত থেকেই সে সব মেরামতের কাজে হাত লাগান পুরসভার কর্মীরা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত শহরে গড়ে প্রায় ৫০ মিমির কাছাকাছি বৃষ্টি হয়েছে। সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ধাপা নিকাশি পাম্পিং স্টেশন এলাকায়, ৬৫ মিমি। এছাড়াও নিউ মার্কেট এলাকায় ৫৯ মিমি, ঠনঠনিয়ায় ৫৮ মিমি, জোকায় ৪৩ মিমি, তপসিয়ায় ৪২ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বুধবার রাতে কিছু জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা আটকে গিয়েছিল। পুরসভার কর্মীরা গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেছেন। বিভিন্ন অংশ থেকে জল নিষ্কাশনের কাজও হয়েছে। পাশাপাশি, উম-পুনের দুর্যোগের কারণে বিপর্যস্ত শহরকে ছন্দে ফেরানোর ব্যাপারে সাহায্য করায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেঙ্গল সাব এরিয়ার জিওসি মেজর জেনারেল সতবীর সিংকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, কলকাতার বাসিন্দাদের তরফে ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানানো হচ্ছে। সেনাদের সাহায্যেই দ্রুত শহরকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো গিয়েছে। যেকারণে শহরবাসী ও প্রশাসন তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে। পুরসভার নিকাশি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সি আর অ্যাভিনিউ, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জ ও বেহালার বিস্তীর্ণ অংশে জল দাঁড়িয়ে যায় বুধবার। নিকাশি বিভাগের কর্তাদের কথায়, গাছের ডাল ও পাতা পড়ে গালিপিটগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জন্যই জল বের হতে সময় লাগছে। তবুও এদিন পাম্প ব্যবহার করে অনেক জায়গা থেকেই জল বের করা হয়েছে। উদ্যান বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে সব মিলিয়ে ২৫টি গাছ পড়ে গিয়েছে বুধবারের ঝড়ে। গাছ সরানোর কাজ দেখছেন পুর-প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। -নিজস্ব চিত্র