গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত সপ্তাহে উম-পুন আছড়ে পড়ার আগেই আলো বিভাগের কর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বড়সড় ক্ষতি হতে যাচ্ছে। তবে তা কোনওভাবে ১০ কোটি টাকার বেশি ছাড়াবে না। কিন্তু উম-পুনের ধাক্কায় ভেঙে পড়া শহরের একাংশের ক্ষতির হিসেব করতে গিয়ে বিভাগীয় কর্তা ও আধিকারিকরা দেখেছেন, শহরের দক্ষিণ এবং পূর্ব কলকাতায় দুর্যোগের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে। উত্তরে ক্ষতি হলেও তা ততটা ভয়াবহ নয়। কিন্তু শহরের সংশ্লিষ্ট ওই দু’টি অংশে কতগুলি বাতিস্তম্ভ দুর্যোগের মোকাবিলা করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটা খুঁজে দেখাই ছিল আলো বিভাগের কর্তা-আধিকারিকদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শুধু বাতিস্তম্ভেরই নয়, শহরের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব শেষ হলে ক্ষতির পরিমাণ টাকার অঙ্কে কী দাঁড়াবে, সেটাই এখন দেখার। স্বাভাবিকভাবেই এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মেরামতের কাজ চলছে। কতটা কী করা সম্ভব হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। আলো বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় বছর আগে শহরে যে প্রবল ঝড় হয়েছিল, তাতে ১৪৪টি ওয়ার্ডে ১৫৮টি বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়েছিল। যার মধ্যে ৮২টি ছিল ত্রিফলা। কিন্তু এবারের ঝড় বিগত বেশ কয়েক দশককে ছাপিয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরে প্রায় চার হাজার বাতিস্তম্ভ ভেঙেছে। যার মধ্যে দু’শোর কাছাকাছি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ আছে। ত্রিফলার মাথা উড়ে গিয়েছে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি। বরো ৭ এবং বরো ৮-এ বাতিস্তম্ভ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।