বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জনই গত সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে এসেছেন ভিনরাজ্য থেকে। এছাড়াও বনগাঁ মহকুমায় একজন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এদিন স্বীকার করেছে জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, অশোকনগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা এক শ্রমিকের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের অধীন শ্রীকৃষ্ণপুর এবং ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট সাতজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এছাড়াও দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাঁপা ও হাদিপুর-ঝিকরা এলাকায় দু’জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। বনগাঁর ফুলবাড়ি গ্রামে কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা এক ব্যক্তির স্ত্রীর শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। এছাড়া ব্লকে ফেরা ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত। এঁরা মহারাষ্ট্র ও চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন। একদিনে এতজনের করোনা হওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তারা।
এদিকে, ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন। এমনকী কেউ কেউ ডাক্তারি পরীক্ষা না করিয়েই ঘরে লুকিয়ে থাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তাল হয় হাওড়ার বাগনান ১ নং ব্লকের বাকসি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। শতাধিক বাসিন্দা বাগনান-বাকসি রোডের ডিএমবি মোড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বাগনান থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই সব এলাকায় ফেরা বহু যুবক কাজের জন্য মূলত মহারাষ্ট্রে থাকতেন। একলপ্তে ৭৬ জনের শরীরে সংক্রমণ মেলায় এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা এনিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এতদিন মূলত হাওড়া শহরে করোনার দাপট চললেও এবার তা গ্রামীণ হাওড়ায় ঢুকে পড়ল কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের। যাঁরা বাইরের রাজ্য থেকে আগামীদিনে হাওড়ায় ফিরবেন, তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বদলে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক পুরকর্তা। আপাতত ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টাইনে কিছু জায়গা ফাঁকা রয়েছে। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য আরও নতুন জায়গা দেখা হবে বলে তিনি জানান। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের ভিড় ডানকুনি স্টেশনে। -নিজস্ব চিত্র