বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরোবরের মাঝে থাকা দ্বীপের সমস্ত বড় গাছ উপড়ে গিয়েছে। এই সমস্ত গাছেই বাসা বেঁধেছিল নানারকমের পাখি। রবীন্দ্র সরোবরের ক্ষয় ক্ষতি নির্ধারণে সোমবার কেএমডিএ’র দুটি দল সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষার সেই প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’কোটি টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এই সরোবর সন্নিহিত অংশে। তবে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আর্থিক লোকসানের তুলনায় অনেক বেশি বলেই মনে করছেন কেএমডিএ প্রধান তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও।
দক্ষিণ কলকাতার ‘ফুসফুস’ বলে পরিচিত এই সরোবরকে পুরনো চেহারায় ফেরাতে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুনঃনির্মাণের কাজও শুরু হবে শীঘ্রই। কেএমডিএ’র সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কদম, বকুল, বটের মতো বড় বৃক্ষ সহ ৩০০টির বেশি গাছ গোড়া থেকে উপড়ে গিয়েছে। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙেছে এক একটি ১০০ মিটার লম্বা, মোট ৩০টি লোহার গ্রিল। এক একটি ৪০ মিটার লম্বা, মোট ১২টি ফেন্সিং। এছাড়াও ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, প্রবেশ পথের বিশালাকার লোহার গেট এবং ভ্রমণকারীদের হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট জায়গারও ক্ষতি হয়েছে।
উম-পুনের তাণ্ডবে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভেঙেছে শতাব্দীপ্রাচীন গাছও। নিজস্ব চিত্র