কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গ্রাহকের অভিজ্ঞতা বলছে, জিওর পরিষেবা অনেকটাই স্বাভাবিক থাকলেও বেহাল অধিকাংশ বেসরকারি টেলিকম সংস্থা। তাদের নেটের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কথা বলা যাচ্ছে না বেশিরভাগ সময়ই। আবার যদিও বা সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তা বন্ধ হয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। অপর প্রান্তে কথা শোনা গেলেও, অস্পষ্ট এবং জড়ানো। কিন্তু, এই পরিস্থিতি এখনও বেশ কিছুদিন থাকবে বলে জানাচ্ছেন সংস্থার কর্তারা। যদিও সরকারিভাবে মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। কেন সমস্যার এখনই সমাধান সম্ভব নয়? বিএসএনএলের বেঙ্গল সার্কেলের এক কর্তার বক্তব্য, সাইক্লোনের পর বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার অন্তত দু’লাখ গ্রাহক মোবাইলের নেটওয়ার্ক বদলে বিএসএনএলের সিগন্যাল ব্যবহার করেছেন।এদিকে বিএসএনএলের অন্তত হাজার দশেক গ্রাহক আবার বেসরকারি সংস্থার সিগন্যাল ব্যবহার করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এভাবে শুধু অন্যের সিনগ্যাল ব্যবহার করে কথা বলা যায় ও এসএমএস পাঠানো যায়। ওই কর্তার বক্তব্য, এতে বিএসএনএলের টাওয়ারগুলির উপর চাপ বাড়ছে মারাত্মকভাবে। তাতে কোনও গ্রাহকই সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা পাচ্ছেন না। যতক্ষণ না বেসরকারি সংস্থাগুলি পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করবে, ততক্ষণ এই সমস্যা চলবে।
এদিকে, বেসরকারি সংস্থাগুলির টাওয়ার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কাজ করছে না বহু ক্ষেত্রে। যদিও বা সেগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকছে, গ্রাহকের এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেলে পরিষেবা মিলছে না। গাছ কাটার সময় বহু জায়গায় সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে গাছ কাটতে গিয়ে বিএসএনএলের তার কেটে বিপত্তি ঘটেই চলেছে। ফলে ব্রডব্যান্ডের অবস্থা যথেষ্ট শোচনীয়, এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তির একশেষ, সমস্যা মেটার সম্ভাবনাও বিশ বাঁও জলে।