কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় এবং জেলা প্রশাসনের অন্দরে। সব রকম সাবধানতা অবলম্বনের পরেও কার বা কাদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে সিইএসসি এবং দমকলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। ঘটনায় একইসঙ্গে দুঃখ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এদিন ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, সিইএসসি’র লোকের উপস্থিতিতে এবং বিদ্যুৎজনিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরও এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাঙ্খিত নয়। যাদের জন্য এই ঘটনা ঘটল, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে। এদিন হাওড়া হাসপাতালে যখন সুকান্তবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন দমকলের ডিজি জগমোহন নিজে। তাঁর নির্দেশে সিইএসসি’র বিরুদ্ধে বেলুড় থানায় কর্তব্যে গাফিলতিতে মৃত্যুর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপরই বিদ্যুৎবণ্টনকারী বেসরকারি ওই সংস্থার ৩ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃত কর্মীর দেহ আনা হয় বালি দমকল কেন্দ্রে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এ নিয়ে কথা বলার জন্য সিইএসসি’র মুখপাত্রের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে সিইএসসি সূত্রের দাবি, ওই তারগুলিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার আগেই তড়িঘড়ি গাছ কাটতে ওঠায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিস, দমকল ও সিইএসসি—সবার তরফেই ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মৃত দমকল কর্মী সুকান্ত সিংহ রায়।