অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২৯টি ব্লকের ৩১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৩ লাখ মানুষ কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারিভাবে প্রাথমিক রিপোর্টে সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে। কোন কোন ব্লকে কী কী ক্ষতি হয়েছে, তারও গড় হিসেব রিপোর্টে রয়েছে। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আকাশপথে সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা থেকে সুন্দরবনের অনেকটা অংশ ঘুরে দেখে যান। তখন ক্ষয়ক্ষতির ওই রিপোর্ট তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছিল। তখনই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ধ্বংসের পুরো ছবি ড্রোন দিয়ে তোলার নির্দেশ দেন। তারপরই জেলা প্রশাসন সব মিলিয়ে ৩০টি ড্রোন নামিয়েছে। যে সব এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এবং দুর্গম বলে যাওয়া যাচ্ছে না, প্রথম পর্যায়ে সেই সব জায়গার ছবি তোলা শুরু হয়েছে। ৫০ জনের এক একটি দল চিহ্নিত স্থানগুলিতে গিয়ে প্রতিদিন দশ ঘণ্টা ধরে ছবি তুলছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, প্রতিটি বিষয় ধরে তার সার্বিক চালচিত্র তুলে আনা হচ্ছে। যেমন সাগরের অর্থনৈতিক ফসল পান চাষ। সেই চাষের এলাকার ভয়ঙ্কর ছবি পাওয়া গিয়েছে। কিছুই নেই। ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি। এছাড়া মৎস্যজীবী, তাঁদের ট্রলার ও ঘরবাড়ির কতটা ক্ষতি হয়েছে, তার ছবিও এসেছে। কৃষি জমি নিয়ে কাজ চলছে। এরপর নদীবাঁধ, সেখানে কতটা জায়গাতে লোনা জল ঢুকল, কোথায় কোথায় রাস্তা ভেঙেছে, কোথায় কত গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি, সাব স্টেশন ও সব্জি চাষ নষ্ট হয়েছে, তাও পর্যায়ক্রমে আনা হবে।