গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা যাচ্ছে, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চীনের সঙ্গে প্রতিটি সীমান্ত বরাবর অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে। এ পর্যন্ত তিনটি সেক্টর মিলিয়ে চীনের ৫ হাজারের বেশি সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন আছে। পাশাপাশি, উদ্বেগ বাড়িয়ে লাদাখ সীমান্তে চীন আরও চারটি ফাইটার জেট এনেছে। যা নারগি এয়ারস্ট্রিপের টারম্যাকে রাখা আছে। শুধু তাই নয়, চীন গত দু’দিনে উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও বেশি করে সেনা আনতে শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডেও চীনের এই আচমকা সেনা মোতায়েন রীতিমতো অস্বাভাবিক। পাল্টা ভারতও সেনার একটি ব্রিগেডকে এখানে আনছে। ফলে উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চীনের সেনা।
ওয়েস্টার্ন সেক্টর লাদাখ এবং ইস্টার্ন সেক্টর সিকিমে একইসঙ্গে কয়েকদিনের ব্যবধানে চীন ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘাতে দু’পক্ষের শতাধিক সেনা জখম হয়। তারপর থেকে লাদাখে সক্রিয়তা বাড়ানোর পর চীনের লক্ষ্য এবার উত্তরাখণ্ড। ভারত এখন থেকেই সতর্কতা নিতে শুরু করেছে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে। চীন কৌশল নিয়েছে, ধীরে ধীরে প্রতিটি সীমান্তেই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে পশ্চিম এবং পূর্ব দুই সেক্টর থেকেই ভারতকে চাপে ফেলতে। ঠিক এই কারণেই আগামীকাল সেনাপ্রধানের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের এই আগ্রাসী মনোভাবের পাশাপাশি গতকাল মধ্যরাত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার বালাকোট সেক্টরে পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ শুরু করেছে। জবাব দিচ্ছে ভারতও। আর বিগত কয়েকদিনের মতোই চীনের মদতে নেপাল আবার বলেছে লিপুলেখ পাস নেপালের। ভারতের উচিত এই এলাকা হস্তান্তর করা। সুতরাং চীন, নেপাল, পাকিস্তান একসঙ্গে মিলে ভারতকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে।